এনবিটিভি ডেস্ক: ভারত চিন সেনা সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই ২০ জন সেনা জওয়ানের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে সেনা কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, এই তালিকায় বাংলার দুই জনের নাম রয়েছে। একজন বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার রাজেশ ওরাং ও অন্যজন আলিপুরদুয়ারের দুই ব্লকের বিন্দিপাড়ার বাসিন্দা বিপুল রায়।
অত্যন্ত দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই সেনাবাহিনীতে পেয়েছিলেন রাজেশ ওরাং। স্বপ্ন ছিল মাটির বাড়ি পাকা করার। পরিবারকে একটু ভালো রাখার। কিন্তু হঠাৎ করেই সব শেষ। লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় চিনা বাহিনীর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ২০ ভারতীয় সেনা জওয়ান। তার মধ্যে রয়েছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানা এলাকার রাজেশ ওরাংয়ের নামও। মঙ্গলবার রাতেই সেনাবাহিনীর তরফে রাজেশের পরিবারকে টেলিফোনে জানানো হয়েছে এই মর্মান্তিক খবর। গ্রামের তরতাজা যুবকের এভাবে মৃত্যুর খবরে শোকে ভেঙে পড়েছে গোটা গ্রাম। রাজেশের মা ছেলের শোকে ঘন ঘন জ্ঞান হারাচ্ছেন।
রাজেশের ভাই জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগেই রাজেশ বাড়িতে ফোন করেছিলেন। এরপর আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি সে। তখনই সে জানায় লাদাখে দুর্গম এলাকায় তাঁর ডিউটি পড়েছে, সেখানে কোনও ফোনের টাওয়ার নেই। রাজেশের এক বন্ধু জানালেন, লকডাউনের আগেই রাজেশ বাড়ি আসার কথা বলেছিল। বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যানও করেছিল সে। তারজন্য ছুটিও জোগাড় করেছিল রাজেশ, কিন্তু বাধ সাধে লকডাউন। আর বাড়িই ফেরা হল না রাজেশের। রাজেশের ভাইয়ের দাবি, তাঁর দাদা শহীদ হয়েছেন, কিন্তু ভারত যেন এর যোগ্য জবাব দেয়। পরিবারের দাবি, বুধবার রাতের মধ্যেই রাজেশের দেহ কলকাতায় নিয়ে আসা হবে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের দুই নম্বর ব্লকের বিন্দিপাড়ার বাসিন্দা বিপুল রায়। তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।