পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামদহ গ্রামে এক ছাত্রীর আত্মহত্যার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। মৃত ছাত্রীর নাম মনীষা ঘোষ (১৫)। সে জামালপুরের চক্ষণজাদি হাইস্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। জানা গেছে, শুক্রবার রাতে পড়াশোনায় মনোযোগ না দেওয়ার কারণে তার বাবা তাকে বকাবকি করেন। এরপর শনিবার সকালে, বাবা কাজে বেরিয়ে গেলে, অভিমানে মনীষা বোতল পরিষ্কার করার অ্যাসিড পান করে। পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে এবং মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। শিক্ষার্থীরা প্রায়ই পড়াশোনার চাপ, পারিবারিক প্রত্যাশা এবং অন্যান্য মানসিক চাপে ভুগে থাকে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী একাডেমিক চাপের কারণে মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখা। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে শখের প্রতি সময় দেওয়া, সামাজিক সম্পর্ক গড়ে তোলা এবং প্রয়োজনে মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিরোধে পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সমাজের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।