৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হাইতি। শনিবার সকালে আচমকাই দেশের পশ্চিম অংশে ভয়াবহ কম্পন অনূভূত হয়। তাতে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় একাধিক এলাকা। কোথাও চোখের সামনে থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে রাস্তা। কোথাও আবার রাস্তার দু’পাশের অট্টালিকা সমান বাড়িগুলি মিশে গিয়েছে ধুলোয়। প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে ২৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলছে।
জানা গিয়েছে, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী শহর পোর্ট আউ প্রিন্স থেকে ১২৫ কিলোমিটার মতো দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎসস্থল৷ ফলে ভূমিকম্পের জেরে হাইতির রাজধানীতেও বহু ঘরবাড়ি সহ বহুতল ভেঙে পড়েছে৷ আতঙ্কে রাস্তায় ছোটাছুটি শুরু করেন মানুষ৷ প্রথম বার ভূমিকম্পের পরও বার বার ছোট ছোট কম্পন অনুভূত হচ্ছে৷ ফলে প্রাণের ভয়ে রাস্তাতেই অপেক্ষা করছেন মানুষ৷
ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘বহু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে৷ অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷’ তবে শুধু হাইতি নয়, ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে এ দিন কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে খবর৷ ভূমিকম্পের পরই হাইতিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ হাইতির সাহায্যে অবিলম্বে ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বিডেনও৷
প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, ২০১০ সালে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তার তুলনায় এবার কম্পনের মাত্রা বেশি। কিন্তু ১১ বছরের বিধ্বংসী ভূমিকম্পের তুলনায় এবার ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কম হতে পারে। ২০১০ সালে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছিল হাইতির একাংশ। যে ভূমিকম্পের ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনই আমেরিকার অন্যতম গরিব দেশ।