সাইফুল্লা লস্কর : গত ৩০ শে ডিসেম্বর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কারাক জেলায় বহুদিনের পরিত্যক্ত একটি মন্দিরে আক্রমণ চালায় বহু দুষ্কৃতী। সে আক্রমণে নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় এক ধর্মগুরু। আক্রমণের পর আগুন লাগানো হয় মন্দিরটিতে। এ ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় পাকিস্তানের জনমানুষে। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে, সংখ্যালঘু কমিশনের সদস্যদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত রিপোর্ট জমা দিতে আদেশ দেয়। ৫ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি নিয়ে শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বেশ কিছু ধর্মীয় নেতাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩০ জনকে। এফআইআর দায়ের করা হয়েছে ৩৫০ জনের বিরুদ্ধে। পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে মন্দিরটি নতুন করে নির্মাণ করে দেয়া হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
ঘটনার পরপরই পাকিস্তানকে কেন্দ্র করে পুরো মুসলিম জাতিকে আক্রমণ করা শুরু করে ভারতের গেরুয়া মিডিয়াসহ পুরো গেরুয়া ব্রিগেড। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে আক্রমণ করতে গিয়ে পুরো মুসলিম জাতিকে আক্রমণ করে বসেন বেশিরভাগ ভক্ত। কিন্তু পাকিস্তানের সরকার এবং বিচার ব্যবস্থার তরফ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া দেখে খুশি পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সমস্ত মানুষ এবং নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে অনেকে প্রশ্ন তুলছে পাকিস্তান ধর্মের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার রাষ্ট্র হলেও সেখানে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় কতটা সচেষ্ট তাদের বিচার বিভাগ, সরকার ও তাদের প্রশাসন কিন্তু ভারতবর্ষে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হলেও এখানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিত্যদিন শিকার হতে হয় মব লিঞ্চিং এর, নিত্যদিন ভাঙচুর করা হয় তাদের মসজিদ কিন্তু সে ক্ষেত্রে পুলিশ গেরুয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয় না বরং মুসলিমদের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট আওতায় অভিযোগ আনা হয়। তাই সময় এসেছে আবার জাতী হিসেবে অগ্রমগমনের জন্য আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে তার সমাধান করে এগিয়ে চলার। দক্ষিণ এশিয়ার বড়ো ভাই ভারত যেন কোথাও সেই নেতৃত্ব দিতে দেখা যাচ্ছে না সর্বক্ষেত্রে নদীর জমানায়। মোদির রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপ্যবহারের ফলে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে বহুলাংশে।