মোদির সৌজন্যে আরো ধ্বস অর্থনীতিতে, বানিজ্যে ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে এক মাসে রেকর্ড ১৫ বিলিয়ন ডলার

সাইফুল্লা লস্কর : মোদির সৌজন্যে আরো দৈনদশা ভারতীয় অর্থনীতির। ইতিমধ্যেই গত প্রায় অর্ধ শতাব্দীতে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে মোদির ব্যর্থ অর্থনৈতিক নীতির কারণে। দ্রব্যমূল্যের দাম আকাশছোঁয়া। জি এস টি, নোট বন্দীর মতো ব্যর্থ অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে আঘাত প্রাপ্ত ভারতীয় অর্থনীতির ওপর চরম ধাক্কা ছিল করোনার লকডাউন। এইসব কারণে মোদির আগমনের পর থেকেই ইউপিএ জামানায় বিশ্বের দ্রুততম বিকাশশীল বৃহত্তর অর্থনীতির তকমা পাওয়া ভারতীয় অর্থনীতি বেশিরভাগ সময়ই নিম্নমুখী প্রবণতা দেখিয়েছে। এবার ডিসেম্বর মাসে করোনা প্রভাব কাটিয়ে অর্থনীতি যখন পুনরুজ্জীবিত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে সরকারের তরফ থেকে, ঠিক তখনই ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াল ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার। যা গত বছরের তুলনায় ভারতের রপ্তানি কমেছে ০.৮ শতাংশ।

এর কারণ বিদেশ থেকে আমদানি বৃদ্ধি এবং রপ্তানির হ্রাস।

এই নিয়ে করোনার প্রভাব পর করার পরও অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর এই তিনটি মাসেই ভারতের রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে ব্যাপক পরিমাণে। উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে ভারতের রপ্তানি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় হ্রাস পেয়েছিল ৮ শতাংশের বেশি। এই ডিসেম্বর মাসে ভারত রপ্তানি করেছে মোট ২৬.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যেখানে আমদানি করা হয়েছে ৪২.৫ বিলিয়ন ডলার। সুতরাং বাণিজ্য ঘাটতি একমাসেই ১৫.৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছর একই মাসে ভারত রপ্তানি করেছিল ২৭.১ বিলিয়ন ডলার।

ভারত চলতি অর্থবর্ষে তিনটি ত্রৈমাসিকে মোট ২০০.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি করেছে যেখানে গত বছর একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ২৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আবার এ বছর একই সময়ে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ এ বছর তিনটি ত্রৈমাসিকে মোট রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ১৫ শতাংশের বেশি। সুতরাং এই সমস্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি বর্তমানে করোনা প্রভাব পুরোপুরি কাটিয়ে উঠে যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তা সত্য নয়। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর মোদি সরকারের তত্ত্ব এখানে মাঠে মারা গেল।

Latest articles

Related articles