নিউজ ডেস্ক : একবিংশ শতাব্দীর মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচির ফলে নারীর ক্ষমতায়ন। ভারত বর্ষ পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র হওয়ায় সাম্যের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে নারীর ক্ষমতায়ন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে নারীর ক্ষমতায়ন অনেক ক্ষেত্রে একটি আলোচিত বিষয় হলেও প্রকৃত অর্থে তা কোনদিনই সেই গুরুত্ব পায়নি। তবে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, মন্দির, মসজিদ, চার্চ ইত্যাদিতে নারীদের প্রবেশাধিকারের ওপর বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে ডানপন্থী বিজেপি এবং উদারপন্থীদের মধ্যে তর্কে বেশ কয়েকবার সরগরম হয়েছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। কিন্তু প্রতিক্ষেত্রে কেরালার শবরীমালা অঞ্চলের আইয়াপ্পা মন্দির আলোচনার শিরোনামে উঠে আসলেও এমন অনেক মন্দির ভারতবর্ষে আছে যে সমস্ত জায়গায় পুরুষের প্রবেশাধিকার ছাড়াও প্রবেশাধিকার রয়েছে গরুর মত প্রাণীদের কিন্তু সেখানে বঞ্চিত থাকে মহিলারা।
এমনই এক মন্দির অন্ধপ্রদেশের কাড়াপা জেলার পুল্লাম্পেটা মণ্ডলে অবস্থিত সঞ্জিভারায় মন্দির। এটি হনুমান দেবের মন্দির নামে পরিচিত আশপাশের মানুষের কাছে। মন্দিরটিতে সমস্ত রকমের কাজকর্ম চালানো হয় পুরুষ সমাজের দ্বারা। পুরুষ ব্যতীত গরুর প্রবেশাধিকার রয়েছে মন্দিরটিতে। মহিলাদের শুধু মন্দিরের আচার-অনুষ্ঠান পালনে নিষেধাজ্ঞা বা প্রবেশাধিকার নেই তা নয় মন্দির থেকে বিতরণ করা প্রাসাদ ও গ্রহণের অনুমতি নেই কোন মহিলার।
গ্রামটির ৭০ ঘর বাসিন্দা এই মন্দিরটিতে প্রতি সংক্রান্তির আগে, সপ্তাহ শেষে এবং পঙ্গালির সময় পূজা নিবেদন করে থাকে। লোকমুখে প্রচলিত যে তাদের গ্রামটি পূর্বের অবস্থানে থেকে বর্তমান অবস্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে ওই মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবীর কারণে। গ্রামের দেবী কোঠাপুরি ইয়েল্লামা সেই স্থানের গরুর দুধ মন্থনের আওয়াজে বিরক্ত হয়েছিলেন বলে গ্রামের এই অবস্থান বদল বলে শোনা যায়।