ভারত ছেড়ে পাকিস্তানের হাত ধরছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান তাদের দেবে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোন

নিউজ ডেস্ক : ভারতের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা, মোদি সরকারের ব্যর্থ কূটনৈতিক কৌশলের ফলে ভারতকে বাদ দিয়ে চীন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করে চলেছে। এবার ইমরান খানের চলমান শ্রীলঙ্কা সফরের সময় বেশ কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি দেখা গেলো পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে। শ্রীলঙ্কা সরকারকে ৫০ মিলিয়ন ডলার লোন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে ইমরান খানের পাকিস্তান। এই লোন থেকে শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে থেকে অস্ত্র শস্ত্র ক্রয় করতে পারবে।

পাকিস্তানের জেএফ ১৭ থান্ডার যুদ্ধ বিমান যা ভারতের তৈরি তেজাস যুদ্ধবিমানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিগণিত হয় কিন্তু বিশ্ববাজারে তেজাসের তুলনায় পাকিস্তানের থান্ডারের অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং এই পাকি বিমানের সক্রিয় ইউনিটের সংখ্যাও অনেক বেশি। ইতিমধ্যে মায়নমার, নাইজেরিয়া এবং পাকিস্তানের বিমানবাহিনী এই যুদ্ধ বিমান ব্যাবহার করছে কিন্তু তেজাস এখনও কোনো দেশ ক্রয় করেনি, এমনকি ভারতের বিমানবাহিনীতে ও খুব কম সংখ্যক যুক্ত হয়েছে এখনো পর্যন্ত। ভারত অনেক দেশকে এই যুদ্ধবিমান বিক্রয় করতে চাইলেও এখনও এই ব্যাপারে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে পাকিস্তানের বিমানটির ব্যাপারে আজারবাইজান, আর্জেন্টিনা, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা সহ বহু দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। সেদিক থেকে শ্রীলঙ্কা ভারত এবং পাকিস্তানের এই দুই যুদ্ধবিমানের মাঝে কোনটি ক্রয় করবে তা নিয়ে চলছে একটা কূটনৈতিক জটিলতা। তবে এবারে সম্ভবত শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের কাছে থেকে এই যুদ্ধবিমান ক্রয় করতে চলেছে। এমনকি চীন পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের অংশও হতে চলেছে শ্রীলঙ্কা, বলে শ্রীলংকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যাচ্ছে। যদিও এখনই পাকিস্তান এবং শ্রীলংকার মধ্যে অস্ত্র ক্রয় বা লোন আদান প্রদানের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পাদিত হয়নি কিন্তু শীঘ্রই চীন ঘনিষ্ট পাকিস্তানের সঙ্গে এই সব ব্যাপারে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

ভারত দুই বছর আগে কলম্বো বন্দরে একটা টার্মিনাল তৈরির জন্য চুক্তি করেও গত মাসে সেই ভারত জাপান শ্রীলংকার ত্রিদেশীয় চুক্তি থেকে এক তরফা ভাবে ভারতকে বাদ দেয় শ্রীলঙ্কা। আবার শ্রীলঙ্কায় চীনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিতে উদ্বিঘ্ন ভারত শ্রীলঙ্কার একটি অব্যবহৃত বিমানবন্দর লিজ নিতে চায়, যে ব্যাপারে শ্রীলঙ্কার সরকার প্রথমে সম্মতি দিলেও পরে তা খারিজ করে দেয়। এই সমস্ত বিষয়গুলো সামনে রাখলে ভারত থেকে যে শ্রীলঙ্কা দূরে যাচ্ছে তা পরিষ্কার। তবে শ্রীলঙ্কা যদি চীনের পর পাকিস্তানের ও ঘনিষ্ট মিত্রে পরিণত হয় তাহলে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থ অনেকাংশে যে ব্যাহত হবে তা বলাই বাহুল্য।

Latest articles

Related articles