নিউজ ডেস্ক : রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণের পূর্বেই কার্যত একটি আসন হাতছাড়া হয়ে গেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের। পুরুলিয়ার একটি আসন থেকে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী উজ্জ্বল কুমার। পুরুলিয়ার জয়পুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন কিন্তু সেখানে সামান্য এক তারিখ ভুলের জন্য নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে। যার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন জানান তিনি। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ তার আবেদনকে স্বীকৃতি দেয় নির্বাচন কমিশনের রায় বাতিল করে দেয়।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে পুনরায় রায়টিকে বিবেচনা করার জন্য আবেদন করা হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল করে উজ্জ্বল কুমারের প্রার্থী পদ বাতিল ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় ওই আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের আর কোনো প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নেই। ফলের রাজ্য বিধানসভার ২৯৩ শাসনের পরিবর্তে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মাত্র ২৯৩ টি আসনে।
ডিভিশন বেঞ্চ তাদের রায় জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন উজ্জ্বল কুমার এর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করায় উজ্জ্বল কুমারের কলকাতা হাইকোর্টের না এসে যাওয়া উচিত ছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। কিন্তু তিনি তা না করায় তার আবেদন বাতিল করা হলো। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ বিজেপির হয়ে কাজ করছে এ রাজ্যে। যেখানে যেভাবে বিজেপি’র সুবিধা হতে পারে সেখানে সেভাবে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আর পুরুলিয়ার জয়পুর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সামান্য এক তারিখ ভুলের জন্য মনোনয়নপত্র বাতিল, বিজেপির অঙ্গুলি হেলনে নির্বাচন কমিশন করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। উল্লেখ্য নির্বাচন কমিশনের গত বেশ কয়েক বছর যাবৎ নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। এমনকি নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে পদত্যাগ করেছিলেন এক নির্বাচন কমিশনার।