নিউজ ডেস্ক : মোদির আচ্ছে দিনের ঠেলায় বাংলাদেশও টপকে গেল ভারতকে। বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয় এখন ভারতীয়দের থেকে বেশি। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২০–২১ আর্থিক বছরে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলার। যা গতবারের তুলনায় ৯ শতাংশ বেড়েছে। গত আর্থিক বছরে বাংলাদেশিদের মাথাপিছু আয় ছিল ২,০৬৪ মার্কিন ডলার। সেখানে ২০২০–২১ আর্থিক বছরে ভারতীয়দের মাথাপিছু আয় ১,৯৪৭.৪১৭ মার্কিন ডলার। লকডাউনের জেরে অর্থনীতি ভেঙে পড়াতেই মাথাপিছু আয় কমেছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে। কিন্তু একইদিকে বাংলাদেশেও করোনার প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতিতে ছাপ ফেলেছিল। কিন্তু সে দেশের মাথাপিছু আয় কিন্তু বেড়েছে। কিন্তু মোদির অযোগ্য নেতৃত্বের কারণেই দেশের অর্থনীতির এই লজ্জাজনক দশা বলে অভিযোগ বিরোধীদের। ইতিমধ্যেই করোনা মোকাবিলায় মোদি বিশ্বের মধ্যে সব থেকে ব্যর্থ নেতার তকমা লাভ করেছেন।
স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম গরিব দেশ হিসেবে গণ্য হয়ে আসছে। কিন্তু সেই গরিব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয়ই এবার পিছনে ফেলল ভারতীয়দের। গত পাঁচ দশক ধরে দারিদ্র ও পরিকাঠামো উন্নয়নের সঙ্গে লড়াই করে চলেছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি যে ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে তা এই পরিসংখ্যানই প্রমাণ করছে। বাংলাদেশের ক্যাবিনেট সচিব খান্দেকর আনওয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এটা একটা ভাল দিক।’
আর মুখে আচ্ছে দিন বলা নরেন্দ্র মোদির ভারত পিছিয়েই চলেছে। এখনও যদিও মোদির মন্ত্রীদের গলায় ভারতকে ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি করার ভুয়া স্বপ্নের কথা শোনা যায়। কিন্তু এটাও যে একটা জুমলা ১৫ লাখ টাকার মতো সেটা বুঝতে বাকি নেই কারো। বলছেন নেট নাগরিকরা।