সীমাহীন ভন্ডামী! অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে বিষোদগার করে এবার মেডিক্যাল কলেজ খুলতে যাচ্ছে রামদেব

নিউজ টুডে : দ্বিচারিতার একটা সীমা থাকে। কিন্তু রামদেবের অভিধানে দ্বিচারিতা বলে হয়ত কোনো শব্দই নেই। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে বিষোদগার করে এবার মেডিক্যাল কলেজ চালু করতে যাওয়া রামদেবকে এই ভাষায় কটাক্ষ করছেন নেট নাগরিকরা।

 

কিছুদিন আগেই অ্যালোপ্যাথিকে ‘স্টুপিড’ বিজ্ঞান বলেছিলেন যোগগুরু বাবা রামদেব। তা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক হই হই চলে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের করা প্রতিবাদের মুখে মন্তব্য ফিরিয়ে নিয়ে ক্ষমাও চান তিনি। এহেন রামদেব এবার একটি এমবিবিএস অর্থাৎ অ্যালোপ্যাথি মেডিক্যাল কলেজ খুলতে চাইছেন।

 

রামদেব বলেছেন, তাঁর হরিদ্বার-স্থিত পতঞ্জলি যোগপীঠ সংস্থা খুব শিগগিরই একটি অ্যালোপাথিক মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে। সেখান থেকে নতুন দক্ষ এমবিবিএস চিকিৎসকরা বেরোবেন। যোগগুরু এও বলছেন, তিনি অ্যালপ্যাথির সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক এবং ওষুধপত্রকে যথেষ্ট সম্মান করেন। এর আগে ‘স্টুপিড সায়েন্স’ বক্তব্যটি তাঁর সরকারি বিবৃতি নয় এবং ইস্যুটি অনেকদূর চলে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অ্যালোপ্যাথির বিরুদ্ধে কোনও বিদ্বেষ নেই তাঁর, জানিয়েছেন রামদেব। তবে সেই সঙ্গে আয়ুর্বেদকেও সম্মান করা উচিত বলে জানিয়েছেন। অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের সঙ্গে যোগাও খুব দরকারি। এই দুটো একসঙ্গে করোনা ভাইরাসকে হারাতে পারে বলে মত তাঁর।

এখন উল্টোসুরে গাইলেও কিছুদিন আগেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসকদের নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন গেরুয়াধারী সন্ন্যাসী। বলেন অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সত্ত্বেও লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যাচ্ছে। এও বলেন, টিকা নেওয়া সত্ত্বেও ১০০০০ চিকিৎসক করোনায় মারা গেছেন। অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্যের জন্য দিল্লি হাইকোর্ট তাকে সমন পাঠায়। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রচেষ্টা দেখে ক্ষেপে যাওয়া রামদেব বলেন, ওদের বাপও আমাকে গ্রেফতার করতে পারবে না।

Latest articles

Related articles