নিউজ ডেস্ক : বর্ণ বৈষম্য ভারতের এক শ্রেণীর মানুষের কারণে বেড়েই চলেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ঐতিহাসিক কাল থেকে এই অমানবিক প্রথার স্বীকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। তবে এবার এই অভিযোগ উঠল ভারতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় মাদ্রাজ আইআইটি তে। এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপক।
অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক তার পদত্যাগের চিঠিতে তার সহকর্মীদের কাছ থেকে বর্ণ বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন: “আমি আইআইটি মাদ্রাসাকে অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ছেড়ে দিচ্ছি। আমার এই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ২০১৯ সালের মার্চ মাসে আমার যোগদানের পর থেকে এইচএসএস বিভাগে সম্মুখীন হওয়া বর্ন বৈষম্য। বিভিন্ন ক্ষমতার পদে ভিন্ন ভিন্ন লিঙ্গ এবং রাজনৈতিক পরিচয়ের দাবিদার ব্যক্তিদের থেকে এই বৈষম্য এসেছে। বৈষম্যের একাধিক সুনির্দিষ্ট দৃষ্টান্ত আছে এবং আমি বিষয়টি সমাধানের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেব।
প্রতিষ্ঠানটিতে আমি কৌতূহলী হয়ে যা পর্যবেক্ষণ করছি তা হল মধ্যে অনেকে মনে করেন বর্ণ-বৈষম্য বিরল ঘটনা। আমার নিজের অভিজ্ঞতা এবং এসসি ও ওবিসি সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে কথোপকথন থেকে বোঝা যায় এই ধারণা সত্য থেকে অনেক দূরে আছে।
মাদ্রাজ আইআইটি এর তরফ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া এই ব্যাপারে দেওয়া হয়নি। তবে মর্যাদাপূর্ণ ইনস্টিটিউট এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইনস্টিটিউটের কোনও মন্তব্য নেই। এই ইমেলটি কর্মচারী বা শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত যে কোনও অভিযোগগের মতো নির্ধারিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অবিলম্বে মোকাবেলা করা হবে। ”
২০১২ সালে একজন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে মাদ্রাজ আইআইটি তে একই বর্ণ বৈষম্যের স্বীকার হওয়ার কারণে। তাই ভারতের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে বর্ণ বৈষম্য একটু কম হলেও বিরল নয়।