এনবিটিভি ডেস্ক :মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্গালোরের মাসুর বাঙ্কের নিকট CFI ( Campus Front Of India) এর আয়োজিত হাজার হাজার ছাত্র জমায়েত হয় জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০-র বিরোধিতা করতে, এই নতুন শিক্ষা নীতি দেশের সংবিধান বিরোধী নীতি, এই বিল বাতিল করার জন্য তাদের এই আন্দোলন। বিধানসভায় ছাত্রদের এই আন্দোলনের আওয়াজ কে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ‘বিধানসভা চলো’ আভিযান চালায়। কিন্তু পুলিশ তাদের উপর লাঠি চালায় এমনকি অনেকেই জখম হয় পড়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে। অনেক ছাত্র– ছাত্রীকে পুলিশ গাড়ীতে তুলে নিয়ে আন্দোলনকে দুর্বল করার জন্য তুমুল প্রয়াস চালায়। নতুন শিক্ষা নীতি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানায় তারা।
এই জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০ পার্লামেন্টে না তুলে কোন আলোচনা ছাড়াই এই বিলটি পাস করে সরকার। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই নীতির তুমুল সমালোচনার সাথে বিরোধিতা শুরু হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় এই নীতি বিদ্যালয় এর গঠন ও অবস্থান অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে,আগামী দিনে এই শিক্ষানীতি আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে। এই রকম ভাবে কৃষক বিল পাস করানো হয়। কৃষকগণ সারাদেশ জুড়ে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা জানাচ্ছে। ঠিক একইরকম ভাবে জাতীয় শিক্ষা নীতির ক্ষেত্রেও ঘটে চলেছে। ভারতবর্ষে ভিন্নভাষী লোকের বসাবাস কিন্তু এই বিলের মধ্য দিয়ে হিন্দি ভাষাকে জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার এক পরিকল্পনা বলে মনে করছে। ‘এক দেশ এক ভাষা’ করার এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এই সরকার বলে দাবী করছে তারা। এই নীতির মাধ্যমে দেশের শিক্ষাকে বেসরকারি করণের চক্রান্ত বলেও মনে করছেন তারা ।
এমএস সাজিদ (সভাপতি, ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া) পুলিশের এই বর্বরতাকে নিন্দা জানিয়ে টুইট করে বলেন “যেখানে শিক্ষাকে বেসরকারিকরণের চক্রান্ত, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ছাত্রদের আন্দোলনের ওপর পুলিশের লাঠির আক্রমণ, যাদেরকে পুলিশ জেলে ভরেছে অতি সত্বর তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে”।
আশওয়ান সাদিক ( সাধারণ সম্পাদক ,ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া) ছাত্র ছাত্রীদের উপর হামলাকে তীব্র নিন্দা জানিয়ে টুইট করে বলেন “ জাতীয় শিক্ষা নীতি -২০২০ এই নীতিকে তুলে নিতে হবে, আর যতোদিন পর্যন্ত এই কানুন ফিরিয়ে না নেবে সরকার ততদিন এই ছাত্র- ছাত্রীদের আন্দোলন চলবে”।