সুব্রত দে, ত্রিপুরা: দেশে 6 টি ঋতুর মধ্যে শরৎ ঋতুতে মানুষজন আমোদপ্রমোদে মেতে ওঠে। শরতের হিমেল বাতাস কাশবনে কাশফুলের দোলা, ভোরের সোনালী আলোতে শিশির ভেজা শিউলি ফুলের সুবাস জানান দেয় শরতের শারদীয়া কড়া নাড়ছে। শরৎ ঋতুতে মৃৎ শিল্পীদের পাশাপাশি এ রাজ্যের ঢাকি শিল্পীরাও ব্যস্ত হয়ে ওঠে। শারদীয়া পুজোর প্রাক্কালে ঢাকি শিল্পীরাও তাদের ঢাক-ঢোল ভাংড়া সহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র গুলি সংস্কারে হাত লাগায়। তাঁদের উদ্দেশ্য থাকে, ঢাক বাজিয়ে আয় উপার্জন করা।
প্রসঙ্গ শারদীয়া পুজোর প্রাক্কালে ঢাকি শিল্প। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মা দেবের পুজো সমাপ্ত হতেই শারদীয়া উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গেছে মূর্তিপাড়া এবং ঢাকিপাড়া গুলিতে। প্রায় একটি বছর অপেক্ষা করে থাকে ঢাকি শিল্পীরা। আর কিছুদিন পরেই আগমনীর বার্তা। সবকিছু মিলিয়ে আনন্দের জোয়ার বইবে গোটা রাজ্যে। তবে শারদীয়া উৎসবকে সামনে রেখে ঢাকি পাড়ার ঢাকি শিল্পীরা কেমন আছেন তারই খোঁজখবর নিতে গিয়ে প্রত্যক্ষ করা গেল, এক শিল্পী অর্থাৎ বলরাম ঋষি দাস, উনার বাদ্যযন্ত্র গুলিতে সংস্কারের কাজে হাত দেয়।
তেলিয়ামুড়া জুড়ে প্রায় ৫০-৬০ জন ঢাকি শিল্পী রয়েছেন। তারা এই শরতের শারদীয়া উৎসবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে যায় ঢাক বাজানোর জন্য। কিন্তু করোনা কালে তাঁদের ব্যবসাতেও ভাটা পড়ে আয়-উপার্জনে। তবে এ বছর করুণা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ঢাকি শিল্পীদেরও আয় উপার্জন বাড়তে পারে। এই আশায় তাঁরা তাদের বাদ্যযন্ত্র সংস্কার করে যাচ্ছে।
ঢাকি শিল্পী বলরাম ঋষি দাস জানান, উনি Covid -19 পরিস্থিতি কালে সরকারিভাবে কোন সাহায্য-সহায়তা পাননি। তবে এবার শারদীয়া উৎসবে আয় উপার্জন ভালো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। অপরদিকে, এবারের শারদীয়া উৎসব হয়ে উঠুক সুন্দরম এটাই ঢাকি শিল্পী প্রত্যাশা করছেন।