দুর্গাপুর: মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পিতৃপক্ষ।কিন্তু প্রতিপদ তিথি থাকার কারনে এবারের দুর্গোৎসব রীতি মেনেই শুরু হয়ে গেল আমরাই ইন্দ্রপ্রস্থ আদ্যাশক্তি মহাপীঠ ও সপ্তপীঠের মন্দিরে।জ্বলে উঠল ঘিয়ের প্রদীপ।যা নিভবে দেবী বিসর্জ্জনের পরে একাদশী তিথিতে।অর্থাৎ অনেকদিন আগে থেকেই ইন্দ্রপ্রস্থ, পুর্বাচল আবাসন এলাকার বাসিন্দাদের দ্বারা পরিচালিত এই মন্দিরে পুজা শুরু হল।মন্দিরে দেবীমৃর্তি সারাবছর থাকে।নিত্যপুজা ও আরতী হয়।ষষ্ঠির দিনে নতুন প্রতিমা এই মন্দিরে আনা হয় আর পুরাতন প্রতিমাকে দশমীর দিনে বিসর্জ্জন দেওয়া হয়।এই মন্দিরের প্রধান সেবাইত শ্রী শ্রী অমৃতদাস মহারাজের কথায়,””রীতি অনুযায়ী এই মন্দিরের পুজো আজ থেকেই শুরু হল।প্রতিদিন লক্ষীর ভোগ দেওয়া হয়।প্রদীপ জ্বলবে অহরহ।একাদশীতে এই প্রদীপ নিভবে।আমরা গোটা মানবজাতির মঙ্গলকামনার্থে এবার সংকল্প করলাম।
“”এই এলাকার কয়েকশো পরিবারের কাছে এই এতদিন আগেই দুর্গোৎসব বাড়তি আনন্দাদায়ক।বেবি সরকার, সোমা ব্যানার্জ্জী, রাখী মন্ডল,টিনা পাল,রানু চ্যাটার্জ্জী সহ এলাকার আবাল বৃদ্ধ বনিতারা এই পুজোয় আজ থেকেই মেতে উঠলেন।ঢাকের তালে,কাশের সুবাসে আর শিউলের গন্ধে আজ থেকেই এই মন্দিরে শারোদোতসবের সূচনা হয়ে গেল আর এটাই বাড়তি পাওনা এই পুজার।এই অঞ্চলে একমাত্র এই মন্দিরে নবমীতে কুমারী পুজা আয়োজিত হয়।অষ্টমী ও নবমীতে মন্দিরে নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করাও হয়।এই মন্দিরে পুজার কয়েকদিন সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।মহিলারা এই পুজায় মেতে থাকেন।