জৈদুল শেখ,সালার: দেশের স্বাধীনতার ৭৫-তম বর্ষে মুর্শিদাবাদ জেলার ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং তাদের সম্পূর্ণ আর্থিক সহায়তায়, আন্দামান সেলুলার জেলে দ্বীপাপ্তরিত স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রদ্যুৎ কুমার রায়চৌধুরীর আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা হল তার নিজের গ্রাম সালার থানার মালিহাটিতে। আর এই আয়োজনকে কেন্দ্র করে জনতার উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। মুর্শিদাবাদ জেলায় বহু স্বাধীনতা সংগ্রামী থাকলেও সেলুলার জেল ফেরত বিপ্লবীর সংখ্যা একেবারেই হাতে গোনা। যার মধ্যে এই বিস্মৃতপ্রায় স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রদ্যুৎ কুমার রায়চৌধুরী একজন। ঐ গ্রাম থেকেই তার স্বদেশী ভাবনার পথচলা শুরু। গত ১৭ই ডিসেম্বর সেই বিস্মৃতপ্রায় স্বাধীনতা সংগ্রামীর প্রত্যন্ত গ্রাম জেলার সদর শহর বহরমপুর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে তার আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার কে.শবরী রাজকুমার।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক আশীষ মন্ডল সহ আরও বিশিষ্টজন। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে পুলিশ সুপার কে. শবরী রাজকুমার বলেন, “এমন একটি কর্মকাণ্ডে আমি উপস্থিত থাকতে পেরে গর্বিত বোধ করছি। স্বাধীনতা সংগ্রামী সম্পর্কে এলাকার মানুষ অনেক অজানা ইতিহাস জানতে পারবে। এটা বড়ো প্রাপ্য। অন্যদিকে, ভরতপুর ব্লকের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক আশীষ মণ্ডল সাহিত্যিক সুনীল বন্দোপাধ্যায়ের কবিতার লাইনকে উদ্ধৃত করে বলেন,”কেউ কথা রাখেনি, কিন্তু এই আবক্ষ মূর্তির প্রতিষ্ঠিতা সংস্থা, মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র কিন্ত কথা রেখেছে।” অনুষ্ঠান শেষে পরিবেশিত হয় সমবেত জাতীয় সঙ্গীত। আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা, মুর্শিদাবাদ জেলা ইতিহাস ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র-র সদস্য অরিন্দম রায় বলেন, “ঐ গ্রামের বাসিন্দারা এবং মালিহাটি দুর্গাদাস সরলাবালা ছাত্র সমাজ রুরাল লাইব্রেরির গ্রন্থাগারিক প্রবীর চক্রবর্তীর মৌখিক ও লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে এই আবক্ষ মূর্তিটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমরা এভাবেই আমাদের সীমিত সাধ্যে শেকড়ের সন্ধান ও সংরক্ষণ করার চেষ্টা করে চলেছি গত একদশক ধরে।”
Related articles