এনবিটিভি ডেস্কঃ প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক হবে নীল-সাদা রঙের। সঙ্গে পোশাকের সাথে থাকবে ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগো। সরকারী ও আধা-সরকারী সমস্ত স্কুলে নীল-সাদা পোশাক বাধ্যতামূলক করে দেওয়ার ঘোষণা করেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী হিজাব নিয়ে মুখ না খুললেও সু কৌশলে এই ড্রেস কোড কেন নিয়ে আসছেন? ইউনিফর্ম যখন বাধ্যতা মূলক করা হবে তখন হিজাব পরা বন্ধ হয়ে যাবে স্বাভাবিক ভাবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যখন হিজাব নিয়ে সরগল পড়ে গিয়েছে তখনই মুখ্যমন্ত্রীর কেন এই সিদ্ধান্ত, প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সূত্রে জানা যায়, ছাত্রদের জন্য নীল প্যান্ট ও সাদা জামা। ছাত্রীদের জন্য নীল-সাদা কামিজ ও শাড়ি। প্রতি পোশাকে থাকবে রাজ্য সরকারের ‘বিশ্ববাংলা’র লোগো।
এদিকে নীল-সাদা পোশাক ঘোষণা করার পরেই তীব্র বিরোধিতা করতে দেখা যায় বিভিন্ন মহলে। বিশেষজ্ঞদের দাবী, রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের পোশাক দেওয়ার সাথে-সাথে নিজের রাজনৈতিক প্রচারও করে নিচ্ছেন। খুব ঠাণ্ডা মাথায় স্কুলের পড়ুয়াদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। অনেক স্কুলে একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ড্রেস কোড রয়েছে। সেগুলিকে শেষ করে দেবে এই নীল-সাদা ড্রেসের নিয়ম।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন। আন্দোলনরত শিক্ষক সংগঠনগুলোর অভিযোগ, কারো ব্যক্তিগত পছন্দ আছে, সেগুলি রাজ্য সরকার কেন দেখছেন না। ছাত্রসমাজের পাশাপাশি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক খেলা। এটা কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না বলে জানান শিক্ষক সংগঠন।