জৈদুল সেখ, কান্দিঃ দারকা নদীর একদিকে কান্দি থানা অন্যদিকে খড়গ্রাম থানা, স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এই দারকা নদির উপর সেতু নির্মাণের কিন্তু ২ কিমি দূরেই রয়েছে গাঁতলা ব্রিজ সরকারি ভাবে নতুনভাবে ব্রিজ তৈরি করা সম্ভব নয়।
ফলে মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার রামেশ্বর পুর গ্রামের দারকা নদীর উপর এলাকার মানুষের নিজেদের প্রচেষ্টায় টাকা তুলে সেতু নির্মানের কাজ শুরু করেছিলেন কিন্তু অর্থের অভাবে সেই সেতু সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তাই এলাকাবাসী সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবি জানিয়েছিলেন, কিন্তু ইরিগেশন ডিপার্টমেন্টের জায়গা সরকারি ভাবে নতুনভাবে স্কিম দেওয়ার বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে তাই কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রার্থ প্রতীম সরকার এছাড়াও এলাকার প্রধানসহ মেন্টর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতা হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে নতুনভাবে সেতুর কাজ শুরু হয়েছে।
সেই সেতুর কাজ কেমন হচ্ছে তা দেখতে বুধবার দুপুরে রামেশ্বর পুর গ্রামে এলেন পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রার্থ প্রতীম সরকার। এই সেতু সম্পূর্ণ হলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস তারমধ্যে রামেশ্বর পুর, মাদারহাটি, নপাড়া গ্রামের মানুষের স্কুল থেকে শুরু করে রেশন কিংবা নিত্য দিনের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে একমাত্র রামেশ্বরপুরের এই সেতু। এলাকার প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ আর বেশিরভাগ কৃষি জমি রয়েছে দারকা নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে। ধান থেকে শুরু করে শাকসবজি কৃষিজ ফসল নদী পার করতে নাজেহাল হতে হচ্ছে কৃষকদের। বর্ষার সময় সমস্যা আরও বেশি খেয়া পারাপারের ক্ষেত্রে সেরকম ব্যবস্থা না নিজেদের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা পারাপার করতে হয়।
এ প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি প্রার্থ প্রতীম সরকার বলেন “কুমারসন্ড পঞ্চায়েতের ওপারে বেশিরভাগ কৃষকদের চাষাবাদ জমি আবার এপারে স্কুল থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে সমস্যা। তাই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি রামেশ্বর পুরে একটা সাঁকো করে দেওয়ার কিন্তু ওটা ইরিগেশনের ডিপার্টমেন্ট। তাদের অর্থের সংকট থাকায় বিধায়ক অপূর্ব সরকার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এবং কুমারসন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি হকসেদ সেখ আর্থিকভাব সাহায্য করেছে তারসঙ্গে গ্রামের মানুষ নিজের সহযোগিতায় সাঁকোর প্রায় ৯০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। বাকিটা কাজটা খুব তাড়াতাড়ি সম্পূর্ণ করার প্রচেষ্টা চলছে তার জন্য সমস্ত সহযোগিতা করা হবে।”
কুমারসন্ড পঞ্চায়েতের মেন্টর অশিতেন্দু বলেন “এই সেতু নির্মাণ হলে কৃষিকাজের সুবিধা তো হবেই তার সঙ্গে সঙ্গে নদীর ওপারে নৌওদা, সুন্দরপুর, রতনপুরে গ্রামের মানুষের যাতায়াত থেকে শুরু করে স্কুল থেকে হাসপাতাল যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা দূর হবে। খড়গ্রাম এবং কান্দি মিলে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।