১৪ জানুয়ারী শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের দ্বিতীয় ভারত জোড়ো যাত্রা।
যাত্রাটি জাতিদাঙ্গায় বিধ্বস্ত ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে শুরু হয়েশেষ হবে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন কংগ্রেসের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল।
যাত্রা শুরু করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। ১৪টি রাজ্যে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ৯ সপ্তাহ পর ২০ মার্চ এই যাত্রা শেষ হবে।
কে সি বেনুগোপাল জানান, প্রথম দফার যাত্রা হয়েছিল দক্ষিণ থেকে উত্তরে। নাম ছিল ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। এবারের যাত্রার নাম ‘ভারত ন্যায় যাত্রা’।
কে সি বেনুগোপাল বলেন, মণিপুরের জনগণের অন্তহীন দুঃখ–দুর্দশায় সবাই উদ্বিগ্ন। সেই কারণে এই রাজ্য থেকেই যাত্রা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। মণিপুর থেকে নাগাল্যান্ড, আসাম, মেঘালয়, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ওডিশা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও গুজরাট হয়ে শেষ হবে মহারাষ্ট্রে। যাত্রীরা পাড়ি দেবেন এই ১৪ রাজ্যের ৮৫টি জেলা।
যাত্রায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাহুল গান্ধী হাঁটবেন। সঙ্গী হওয়ার কথা তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর। তবে এবারের ‘ন্যায় যাত্রা’ শুধু পদব্রজে হবে না। প্রাকৃতিক ও ভৌগোলিক কারণ এবং লোকসভার নির্বাচন ঘাড়ের ওপর বলে যাত্রা পথের কোনো কোনো ক্ষেত্রে যানবাহন ব্যবহার করা হবে। প্রথম ভারত জোড়ো যাত্রা ছিল প্রায় পাঁচ মাস। দ্বিতীয় যাত্রা দুই মাস এক সপ্তাহ চলবে বলে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে।
বিজেপি যথারীতি এই কর্মসূচির সমালোচনা করেছে। দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেছেন, কংগ্রেসের দ্বিচারিতার জন্য দেশের মানুষ ভারত জোড়ো যাত্রাকে প্রত্যাখ্যান করেছে। স্রেফ স্লোগান দিয়ে মানুষকে বোকা বানানো যায় না। দেশবাসীকে সব দিক থেকে প্রকৃত ন্যায় দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি