কলকাতা, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫:
আজ সকালের ট্রেন চলাচলে হঠাৎ এক ঘণ্টার দেরি দেখে যাত্রীরা হতবাক হয়ে পড়েন। ডাউন বারাসাত–দমদম লাইনের ট্রেন নিয়ন্ত্রিত গতিতে চলার কারণে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় প্রায় এক ঘণ্টা বিলম্ব হয়েছে। এই বিলম্বে বহু যাত্রী তাদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিতে বা অন্যান্য সংযুক্ত ট্রেন ধরতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ এই রেলপথের উপর নির্ভর করেন। অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বা ব্যবসায়িক মিটিংয়ে সময়মতো না পৌঁছানোর ফলে কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। অনেকেই জানান, “নিয়মিত সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় আমাদের অফিসে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে এবং এতে ব্যক্তিগত ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।”
এছাড়াও, জরুরি চিকিৎসা বা স্বাস্থ্যের কোন অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিতে সময়মতো হাসপাতালে না পৌঁছানোর সম্ভাবনাও বেড়েছে, যা একেবারে অগ্রহণযোগ্য।
রেল কর্তৃপক্ষ জানান, রেলপথে প্রায়শই চলমান রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির কাজের ফলে এমন বিলম্বের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিশেষ করে শীতকালীন পরিবেশে রেল লাইনের সঙ্কোচন ও প্রসারণের কারণে ফাটল ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। যদিও দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে, তবে নিয়ন্ত্রিত গতিতে ট্রেন চালানোর প্রক্রিয়া এখনও যাত্রীদের নির্ভরযোগ্য সেবা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ।
যাত্রীগণ দাবি করছেন,
নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য সেবা: প্রতিদিনের যাত্রাপথে ট্রেনের সময়মতো ছাড়ার নিশ্চয়তা প্রদান করা অত্যন্ত জরুরি।
দ্রুত সমস্যার সমাধান: রেলপথের ফাটল বা ক্ষয়ক্ষতি শনাক্ত হয়ে মাত্রই তাৎক্ষণিক মেরামতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পরিবহন বিকল্পের ব্যবস্থা: বিলম্বের কারণে যারা অফিস বা জরুরি কাজে পৌঁছাতে চান, তাদের জন্য বিকল্প পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
একজন যাত্রী বলেন, “আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে নির্ভরযোগ্য ট্রেন চলাচল, যদি এভাবে এক ঘণ্টা বিলম্ব থাকে তাহলে অনেকের কর্মজীবন, স্বাস্থ্য এবং ব্যক্তিগত পরিকল্পনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
ডাউন বারাসাত–দমদম লাইনের এক ঘণ্টা দেরিতে চলা ট্রেন শুধুমাত্র একটি সময়ের অসুবিধা নয়, বরং এর প্রভাব সমগ্র যাত্রী জীবনে ব্যাপক সমস্যা ও হয়রানির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কর্মক্ষেত্র, স্বাস্থ্য, ব্যবসা ও ব্যক্তিগত পরিকল্পনায় এই বিলম্বের মারাত্মক প্রভাব থেকে উত্তরণের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কার্যকর এবং দ্রুত পদক্ষেপের প্রত্যাশা রইল।