
রবিবার গাজার দেইর এল-বালাহ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন। স্থানীয়দের বর্ণনা অনুযায়ী, হামলার সময় ওই বাড়িতে কোনও সন্দেহভাজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিল না। পুরুষরা সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন। একজন বাসিন্দা, মোহাম্মদ আল-আজাইজেহ, বলেন, “আমাদের বোঝার বাইরে, কেন এই হামলা হল। বাড়িতে কেবল নিরীহ মানুষ ছিল—শিশু, নারী আর মেয়েরা। একটি ক্ষেপণাস্ত্র বাড়ির প্রতিটি তলা ভেদ করে গিয়ে পুরো বাড়িটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। মনে হয়েছিল যেন কোনও বিশাল বিস্ফোরক আমাদের উপর পড়েছে।”
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতির জন্য কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) তীব্র অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন।”

এদিকে, শনিবার রাতে গাজা সিটির আরেকটি হামলার পর আল-আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ দৃশ্য দেখা গেছে। সেখানে পুরুষ ও নারীরা সাদা কাপড়ে মোড়া মৃতদেহগুলোর পাশে বসে শোক জ্ঞাপন করছিলেন। উম্ম হায়থাম আল-সালাখি নামে একজন নিহতের আত্মীয় কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “বিস্ফোরণের শব্দ শুনে আমরা দ্রুত শিশুদের দেখতে ছুটে যাই। আমি আমাদের সব শিশুর নাম ধরে ডাকতে থাকি, কিন্তু অনেক ডাকার পর বুজলাম তারা আর সারা দেবে না।”
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত মাসে গাজায় তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করার পর থেকে এখন পর্যন্ত হামাস-নিয়ন্ত্রিত এই অঞ্চলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১,৩৩০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০,৬৯৫ জনে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী।