
রবিবার সকাল ৯টায় হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলায় ভূমিকম্প প্রথম আঘাত হানে। জাতীয় ভূকম্পনবিদ্যা কেন্দ্রের (এনসিএস) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৩.৪. কম্পনের উৎসস্থল ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা শব্দ ও হঠাৎ ঝাঁকুনি অনুভব করে আতঙ্কে বাড়ি-অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি বা আহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এর মিনিটখানেক পরই মধ্য মিয়ানমারের মেইক্তিলা শহরের কাছে ৫.৫ মাত্রার আরেকটি কম্পন রেকর্ড করে ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস)। গত ২৮ মার্চ ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৩,৬০০-এর বেশি প্রাণহানির পর এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী আফটারশক। রাজধানী নেপিডোতে এই কম্পন অনুভূত হয়। স্থানীয়রা জানান, কম্পনের তীব্রতায় কিছু বাড়ির ছাদে ফাটল ধরে এবং মানুষ রাস্তায় দৌড়ে আসে।

সকাল ৯:৫৪-এ তাজিকিস্তানে ৬.৪ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ১০ কিলোমিটার গভীরতায় এই কম্পনের প্রভাব তীব্রভাবে অনুভূত হয়। এর মাত্র ৪২ মিনিট পর ১০:৩৬-এ একই অঞ্চলে ৩.৯ মাত্রার আরেকটি আফটারশক রেকর্ড করা হয়। আশপাশের শহরগুলোতে স্কুল ও দোকান দ্রুত খালি করা হয়।
হিমালয় থেকে মধ্য এশিয়া পর্যন্ত এই অঞ্চলটি টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, যেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ঘনঘন এই কম্পন ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইঙ্গিত দিতে পারে।