
২৬ এপ্রিল, শনিবার রাতে গুজরাট পুলিশ এক বিশেষ অভিযান চালায়। আহমেদাবাদ, সুরাট, বরোদা, রাজকোট সহ বিভিন্ন শহরে পুলিশ, এসওজি, ক্রাইম ব্রাঞ্চ ও অন্যান্য ইউনিট মিলে অভিযান চালায়। তাদের দাবি, তারা বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আগত অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করছে।
কিন্তু অন্যদিকে সিভিল রাইটস সংগঠন বলছে, অনেক নিরপরাধ মানুষকে শুধু সন্দেহের ভিত্তিতে ধরা হয়েছে। বহু পরিবার জানায়, রেশন কার্ড বা আধার চাওয়ার নামে হয়রানি করা হয়েছে। আহমেদাবাদের কঙ্করিয়া ফুটবল মাঠ, পুলিশ স্টেডিয়াম, শাহিবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী ডিটেনশন সেন্টার তৈরি করে মানুষদের আটক রাখা হয়েছে। অনেকের আইনজীবী, চিকিৎসা, খাবার-জলেরও সুযোগ ছিল না বলে জানা গিয়েছে।

আহমেদাবাদে এক হাজারের বেশি মানুষ ধরা পড়লেও মাত্র ১০০ জনের কাগজপত্রে সমস্যা পাওয়া যায়।
সিভিল রাইটস সংগঠন বলছে, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অভ্যন্তরীণ অভিবাসীদের বিদেশি বানানো ঠিক নয়। তারা আইনি পরিদর্শনের এবং সবার ন্যায্য অধিকার রক্ষার দাবি জানায়।