এনবিটিভি ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদফতর দ্রুত বেশ কিছু কর্মী নিয়োগ করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওয়াক ইন ইন্টারভিউ করে ৫০০ হাউস স্টাফ, ৫৩ মেডিকেল অফিসারকে নিয়োগ করা হবে।
পাশাপাশি কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগেও কর্মী নিয়োগ হবে একইভাবে। ওই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন করোনা মোকাবিলা নিয়ে রাজ্যের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথাও ঘোষণা করেন।
তিনি এদিন বলেন, করোনা মোকাবিলায় দৈনিক ২৫ হাজার পরীক্ষা করার যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা পূরণ করেছে রাজ্য। এদিন গোটা রাজ্যে ২৫,৬০০ জনের কোভিড টেস্ট হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন রাজ্যে কোভিড হাসপাতালগুলিতে বেডের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে করোনা রোগীদের জন্য শয্যার সংখ্যা ১১ হাজার ৫৬০টি। এছাড়া টেলিমেডিসিন পরিষেবায় আরও একটি নম্বর চালু করা হল। যার নম্বর হল ৪০৬০২৯২৯। এখানে ফোন করলেও সরাসরি মিলবে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। পাশাপাশি ৪০৯০২৯২৯ নম্বরেও অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা পাওয়া যাবে।
পাশাপাশি মুখ্যসচিব এদিন জানান রাজ্যে চালু হচ্ছে কোভিড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। স্বাস্থ্যদফতরের ওয়েবসাইটে গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়া থাকবে। যা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম বলেই দাবি করেন মুখ্যসচিব। এরজন্য ৯৬ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দলও তৈরি করা হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হার মাত্র ২ শতাংশ। তাঁদের মধ্যেও ৮৮ শতাংশের মৃত্যু হচ্ছে কো-মর্বিডিটিতে। রাজ্যে এই মুহূর্তে সংকটজনক করোনা রোগীর সংখ্যা ১,০৪৪ জন। সেইসঙ্গে ভুয়ো করোনা পরীক্ষা নিয়েও সাবধান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বলেন, ‘কেউ এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়ে সোয়াব টেস্ট করার জন্য বাড়ি বাড়ি উপস্থিত হলে, তা বিশ্বাস করবেন না’। তিনি আরও জানান, ভুয়ো করোনা রিপোর্ট আটকাতে ৫ জন মাইক্রোবায়োলজিস্টকে নিয়ে তৈরি বিশেষজ্ঞ দল।
প্রতিটি ল্যাবে এই দল পরিদর্শন করে পরীক্ষার রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তবেই তা দেওয়া হবে। এছাড়া শহরে একাকী বৃদ্ধ, বৃদ্ধাদের সাহায্যের জন্য পুরসভাকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় এরকম আবাসন নিয়ে সার্ভে করতেও বলেন তিনি।
লকডাউন নিয়ে তিনি বলেন, ‘লকডাউনের যে দিন ঠিক হচ্ছে, তার পিছনে বিজ্ঞান আছে’। তবে জেলায় জেলায় কনটেনমেন্ট জোন অনুযায়ী লকডাউন হচ্ছে। এটা জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে। এর সঙ্গে সম্পূর্ণ লকডাউনের সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।