এনবিটিভি ডেস্ক,নয়াদিল্লি: বিগত এক দশকে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটাই উন্নতি করেছে ভারতীয় দল। আট বছর পর এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করার পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ১০০’র মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রীরা। তবে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে সাড়া জাগিয়েও ব্যর্থ স্টিমাচ-ব্রিগেড। কাতার,বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ড্র করার পাশাপাশি ঘরে-বাইরে ওমানের কাছে হেরে বিশ্বকাপের আশা শেষ হয়ে গিয়েছে ভারতের। তবে গ্রুপের বাকি তিনটে ম্যাচে জিতে ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করার সুযোগ রয়েছে সুনীল-গুরপ্রীতদের সামনে। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বাইচুং ভুটিয়া মনে করছেন, আপাতত সব ভুলে এএফসি এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জন করার দিকেই মনঃসংযোগ করা উচিত ভারতের। শুধু আসন্ন এশিয়ান কাপ নয়, বিশ্বের মঞ্চে নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে নিয়মিত এশিয়ার সেরা টুর্নামেন্টে যোগ্যতা অর্জন করা আবশ্যক। সেইসঙ্গে বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপগুলিতেও ভালো ফল করতে হবে। তাহলেই অদূর ভবিষ্যতে ভারতের বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন সফল হবে। ফেডারেশন ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইচুংয়ের বক্তব্য, ‘সবার আগে দরকার জাতীয় দলে ভালো মানের ফুটবলার তুলে আনা। বর্তমানে যারা রয়েছে তারা সকলেই ভালো। তবে এশিয়ার বুকে নিজেদের মেলে ধরতে হলে আরও দক্ষ ফুটবলার খুঁজতে হবে। এআইএফএফ তৃণমূল স্তর থেকে ফুটবলার তুলে আনার উপর জোর দিচ্ছে। যা সত্যিই ইতিবাচক দিক। তবে এই দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও যোগ্যতা বাড়ানো প্রয়োজন।’
২০১৯ এএফসি এশিয়ান কাপের পর ভারতীয় দল খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি। যার প্রভাব পড়েছে দলের র্যাঙ্কিংয়ে। একটা সময় ৯৬তম স্থানে থাকলেও, বর্তমানে ১০৮ নম্বরে নেমে এসেছে ভারত। বাইচুংয়ের মতে,র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করতে হলে অনেক বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে হবে। নিজেদের সময়ের তুলনা টেনে পাহাড়ি বিছে জানান,‘বর্তমানে ভারতীয় ফুটবলাররা আমাদের তুলনায় বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি আধুনিক মানের ট্রেনিং পরিকাঠামো, কোচিং স্টাফ, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ, সব কিছুই ভারতীয় দলকে আরও বেশি করে উন্নতি করতে সাহায্য করছে।’একই সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের অগ্রগতির জন্য ইন্ডিয়ান সুপার লিগকেও কৃতিত্ব দিচ্ছেন বাইচুং। তিনি বলেন, ‘আইএসএলে যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। যা ফুটবলারদের ভালো খেলার সহায়ক। প্রত্যেকটি দলের পরিকাঠামো যথেষ্ট আধুনিক। বিদেশি কোচের অধীনে ভারতীয় তরুণ ফুটবলাররা নিজেদের পরিণত করে তোলার সুযোগ পাচ্ছে। যা আগামী দিনে জাতীয় দলকেই সমৃদ্ধ করবে।’
সৌজন্যে-বর্তমান পত্রিকা