দিন দুয়েক আগেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনে প্রার্থী দেবে না বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গলায় ধরা পড়ল একেবারে ভিন্ন সুর। তিনি এদিন বাংলায় অভিযোগহীন সরকার গড়ার কথা বলেন। এদিন কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি বলেন, “বাংলার মুখ্যমন্ত্রী টানা তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী।
সারা ভারতবর্ষ জুড়ে তাঁকে নিয়ে আলোচনা, চর্চা চলছে। বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর তাঁর একটা বিষয় দেখা দরকার যে উনি যেন এই ভাবমূর্তি ভারতবর্ষে বজায় রাখতে পারেন। আমি মনে করি তাঁর ওপরে দায়িত্ব আরও বাড়বে। কোথাও হিংসাকে সমর্থন করা যায় না।” পাশাপাশি, তিনি আরোও আবেদন রেখেছেন, “আসুন, বাংলায় আমরা এমন বাতাবরণ তৈরি করি যে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারের প্রতি যেন আর অভিযোগ করার কোনো সুযোগই না থাকে। একটা অভিযোগহীন রাজ্য সরকার তৈরি করা কি সম্ভব নয়?”
অন্যদিকে, বারবার বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী পক্ষের তরফে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানানী হয়। সেই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, “রাষ্ট্রপতি শাসন বললেই রাষ্ট্রপতি শাসন হয় না! রাজনৈতিক স্বার্থে এই কথাগুলো বলা হয়, যারা বলছেন তাঁরাও তা জানেন। তবে আমি বলতে চাই, আমি তোমার থেকে খারাপ নই এই তর্ক না করে আমি সর্বদা ভালো এই জায়গাতে আমরা কেন নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করতে পারি না?” পশ্চিমবঙ্গে ক্রমাগত বিভিন্ন জায়গা থেকে ভুয়ো পরিচয়ধারীদের সন্ধান মিলছে। ভুয়ো ডাক্তার, আইনজীবী, আইপিএস, ডিসিপি থেকে শুরু করে বাদ নেই কিছুই। অধীর চৌধুরী এই বিষয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো লোকজনে ভরে গেছে। এটা প্রশাসনের গাফিলতি। এমন কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা দরকার যাতে কেউ এসব করার দুঃস্বপ্নও না দেখে। প্রশাসনের এত ছিদ্র থাকলে দেশের বা রাজ্যের নিরাপত্তা কীভাবে বজায় থাকবে।”
৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ভাবনীপুরে। একই সঙ্গে ওই দিনই মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ভোট। আজ সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। অধীর সাফ জানালেন, “মুর্শিদাবাদে বিজেপি গোহারা হারবে। ভাগ্যক্রমে তাঁরা দুটো আসন পেয়ে গেছে।” সম্প্রতি বিশ্বভারতীর উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল ছাত্রছাত্রীরা। শেষমেশ আদালতের রায়ে আন্দোলন থামায় তাঁরা। কিন্তু এখনও একটা ঠান্ডা যুদ্ধ বিশ্বভারতীর অন্দরে চলছে। অধীর চৌধুরী এ প্রসঙ্গে বলেন, “উপাচার্যই বিশ্বভারতীর বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। দিনের পর দিন সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিশ্বভারতী আর ranking আসে না। এটা কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান। তাঁদের হস্তক্ষেপ করা উচিত্। বিশ্বভারতী রাজনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে।