এনবিটিভি ডেস্কঃ দীর্ঘ ১০৭ দিন পর মুসলিম যুবককে বেকসুর মুক্তি দিলো মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। তসলিম আলি পেশাতে চুড়ি বিক্রেতা। তাকে গ্রেপ্তার করার দুই দিন আগে, একটি “হিন্দু এলাকায়” চুড়ি বিক্রি করার জন্য একদল লোক তাকে লাঞ্ছিত ও গালিগালাজ করে। এমনকি সম্মিলত জনতা তাসলিম আলিকে জনসম্মুখে মারধরও করে।
তাদের অভিযোগ, চুড়ি বিক্রির অজুহাতে নারীদের হয়রানি করেছে । আজ তাসলিম আলি ১০৭দিনের মাথায় মুক্তি পায়। যদিও এই ঘটনার সাথে অভিযুক্ত ব্যাক্তিদেরকে কোনও প্রকার গ্রেফতার করা হয়নি বলে অভিযোগ তাসলিমের পরিবারের।
উল্লেখ্য, তাসলিম আলির বিরুদ্ধে মধ্যপ্রদেশ ইন্দোরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। তার বিরুদ্ধেএফআইআরে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা উল্লেখ করে মামলা করে সম্মিলিত উগ্র হিন্দু জনতা ।
তাসলিমের এরপূর্বে কোনও ধরনের অপরাধ মূলক ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করে আজ মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট মুক্তি দেয় ।
বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠছে যে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কথায়? যেখানে একজন সাধারণ চুড়ি বিক্রেতাকে সম্মিলিত জনতার ভিড়ে ‘হিন্দু এলাকায়’ প্রবেশ করার উজুহাতে মারধোর করছে, তারপর তাকে দীর্ঘদিন বিনা দোষে ১০৭ দিন জেলে থাকতে হচ্ছে। এমনও হাজারও ঘটনা ঘটে চলেছে চোখের আড়ালে।
আজ মঙ্গলবার তাসলিম মুক্তি পাওয়ার পর তার আইনজীবী এহতেশাম হাশমি বলেন যে, “আদালতের আদেশটি সংবিধানের বিজয় ছিল।”