পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কনস্টেবল পদের নিয়োগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য ৬ই সেপ্টেম্বর থেকে অ্যাডমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। এই পদের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৬ সেপ্টেম্বর। কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য কনস্টেবল পদে আবেদনকারী প্রায় ৩৫ হাজার পরীক্ষার্থীর আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে। হিজাব পরিহিত ছবি সংযুক্তির জন্যও বহু মুসলিম মহিলার আবেদনপত্র বাতিল করা হয়েছে।
পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক উবাইদুল্লাহ শেখ তার এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে হলেন যে, “হিজাব পরার কারণে কোন চাকরী প্রার্থীকে দেশের সেবা করা থেকে বিরত রাখা সংবিধান পরিচালিত দেশের জন্য ক্যান্সার এর মতই ক্ষতিকর, এবং এমনটা ঘটতে দেওয়া কোন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী শাসকের পরিচয় বহন করে না”। সোশ্যাল মিডিয়া মারফত পাওয়া চাকরী প্রার্থীর ভিডিও সাক্ষাৎকার থেকে যে বিষয় সামনে এসেছে তাতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরো বলেন যে, “সংবিধানে নেই কিন্তু যারা হিজাব পরিহিতা চাকরী প্রার্থী তাদের সকলের আবেদন খারিজ করা হয়েছে” – প্রকাশ্যে এই কথা বলার অর্থ এটাই যে, তারা দেশের সংবিধান নয়, নিজেদের ইচ্ছানুসারে কাজ করছেন সেটা সংবিধান দ্বারা পরিচালিত দেশে মেনে নেওয়া যায় না। এটা শাস্তি যোগ্য অপরাধ”।
তিনি আরো বলেন যে, “রাজ্য সরকারের দায়িত্ব হল রাজ্যের সকল নাগরিককে তাদের সংবিধান স্বীকৃত অধিকার ভোগ করার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া, যাতে তারা জীবনের সর্বক্ষেত্রে আইনের আওতায় থেকে কাজ করতে পারে। শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ দাড়ি ও পাগড়ি পরে যদি নিরাপত্তা ব্যবস্থার শিখরে কাজ করতে পারেন এবং তাতে কোন সমস্যা না হয় তাহলে একজন মুসলিম যুবতী কেন হিজাব পরে চাকরী করতে পারবেন না”। তিনি রাজ্যের সকল সচেতন মানুষের কাজে আবেদন করেন যে, তারা যেন সংবিধান বিরোধী কোন কাজকে নীরবে মেনে না নেন, কারন তাদের এই নীরবতা দেশের জন্য বিপদ ডেকে আনবে।