মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভের জেরে এ পর্যন্ত ৫৫০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ওই শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনতার পক্ষে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।
যেসব প্রতিষ্ঠান ইসরায়েলে বিনিয়োগ করছে এবং গাজা যুদ্ধে ইন্ধন দিচ্ছে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করার দাবিতেই শিক্ষার্থদের এই আন্দোলন। গ্রেফতার হলেও শিক্ষার্থীরা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
হার্ভার্ড, কলাম্বিয়া, ইয়েল, ইউসি বার্কলে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ বলছে, অনুমতি ছাড়া এসব বিক্ষোভ করার কারণে তারা পুলিশ ডাকতে বাধ্য হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে টেজার এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে পুলিশ। ঘোড়ার পিঠে চড়ে থাকা অফিসাররা বলপ্রয়োগের মাধ্যমে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ভণ্ডুল করেছে।
এর মধ্যে এমরি ইউনিভার্সিটিতে একজন অধ্যাপককে মাটিতে ফেলার এবং হাতকড়া পরানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায় পুলিশ একজন শিক্ষার্থীকে মাটিতে ফেলে ধস্তাধস্তি করছে। প্রফেসর ক্যারোলিন ফোহলিন তাতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর বলপ্রয়োগের নিন্দা করেছে
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। তারা বিক্ষোভকারীদের বাক স্বাধীনতার অধিকারকে সম্মান করার আহ্বান জানিয়েছেন।