গোলাম হাবিব, মালদাঃ নিকাশির অভাবে থইথই জল রাস্তায়। ঝুঁকি পূর্ণ ভাবে পথচারীদের চলছে যাতায়াত। সেই ড্রেন করতে গেলে বিজেপি ড্রেনের কাজে বাধা দিচ্ছে, অভিযোগ শাসক দলের, যদিও পাল্টা কাটমানি পাচ্ছে না তাই রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে বিজেপির বদনাম করছে দাবি বিজেপির। এনিয়ে শুরু হয়েছে শাসক–বিরোধীর মধ্যে তরজা।
নিকাশি ব্যবস্থার বেহাল দশা। বৃষ্টি পড়লেই জমছে জল। রাস্তার অবস্থাও খারাপ। কিছুক্ষণের বৃষ্টিতেই রাস্তা যেন ছোট খাটো জলাশয়। যাতায়াত করতে মানুষ প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি ঘটে যাচ্ছে দুর্ঘটনাও। এরকম বেহাল দশা মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। তার অন্যতম কারন পাড়ায় পাড়ায় জল নিকাশি নালার ব্যবস্থা নেই। তবে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম–পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, ড্রেন নির্মান কাজে উদ্যোগী হয়েছে তারা। এন আর জিএস প্রকল্প থেকে মোট ৭২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ৪ টি ড্রেন করার জন্য, তবে এলাকায় কাজ শুরু করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।এদিকে দুই রাজনৈতিক দলের বাক–বিতন্ডায় ভোগান্তি ভুগছে সাধারণ মানুষ। বর্ষাকাল না এলেও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ফলে জমতে শুরু করেছে জল।
স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব দাস বলেন ,আমরা ড্রেন চাই। আর এখানে কেউ কাজ করতে আসেনি। আর আমরা বাধা দেব কেন? আমরা চাই ড্রেন করা হোক। ড্রেন হলে প্রায় শতাধিক পরিবার উপকৃত হবে।
মালদা জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান অভিযোগ করে বলেন,ওই এলাকায় ড্রেন নির্মানের জন্য ঠিকাদার গিয়েছিল। তবে স্থানীয় কিছু বিজেপি কর্মী কাজে বাধা দিচ্ছে।
তৃণমূলের উন্নয়ন ওদের সহ্য হয় না। তাই এলাকায় কোনো কাজ করতে গেলে তাড়া রুখে দাড়ায়। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনিক উপরমহলে জানাব। বারবার যেন বাধার সম্মুখীন না হতে হয়।
বিজেপি মন্ডল সভাপতি রূপেশ আগারওয়ালা বলেন কাটমানি পাচ্ছে না তাই রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে বিজেপির নাম বদনাম করছে। কাজ বিজেপি কর্মীরা আটকাইনি। ঠিকাদার গরীব মানুষের বাড়ি ভেঙে ড্রেন করবে।স্বাভাবিক ভাবে বাসিন্দারা বাধা দিবেই। নিয়ম মেনে কাজ হলে কেউ বাধা দেবেনা। দাবি বিজেপির।
তবে প্রশাসনের উচিত দ্রুত এই ব্যাপারে নজর দেওয়া। কারণ সামনে বর্ষাকাল আসছে। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে কাজে আসতে হয়। এখানেই থানা সহ বিভিন্ন অফিস রয়েছে। ফলে নিকাশি ব্যবস্থার কারণে যদি এইভাবে জল জমে, তাহলে মানুষকে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে। আর রাজনৈতিক তরজা ছেড়ে সকল রাজনৈতিক দলেরও উচিত এই সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয় সেই দিকেই লক্ষ্য রাখা।