নিউজ ডেস্ক : যখন অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের বিধায়ক বা সংসদকে দলে নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে বিজেপি কখনো শরিক বা বিরোধী সেটা বিবেচনা করেনা। বরং শরিকদের ঘর ভাঙার ব্যাপারে আগে ভাবে। ঠিক তেমনই ঘটনা ঘটল JDU এর সঙ্গে। বিহারে তাদের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার তৈরি করেও অরুণাচল প্রদেশে ৭ জন বিধায়ক এর মধ্যে ৬ জন জেডিইউ বিধায়ককে নিজেদের দলে যোগদান করালো বিজেপি। এর ফলে অরুণাচল প্রদেশে যদি জেডিইউ রাজনৈতিক অস্তিত্ব প্রায় শেষ হয়ে গেল।
এই ঘটনার ফলে নীতীশ কুমারের জেডিইউ কে একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলে পরিণত করার স্বপ্ন চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল। এর আগে উত্তর পূর্ব ভারতের একটি রাজ্য নাগাল্যান্ডের একটি বিধায়ক ছিল নীতিশের দলের। কিন্তু কয়েক মাস আগে সেই বিধায়ক ও নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এইসব দলবদল এর পিছনে হাত রয়েছে “হর্স ট্রেডিং” এর জন্য পরিচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। তবে এতো কিছু হয়ে গেলেও বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে রাজি নয় বিহারের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিহারের বর্তমান সরকারে সর্বাধিক আসন আছে বিজেপির। সুতরাং নীতিশের তেমন কোনো রাস্তা নেই বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলার। এমনটা মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এর আগেও কিছুই কিছু ঘটনায় নীতীশ অপমানিত হলেও মুখ খুলতে পারেননি। নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো নব নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু বিহারে বিজেপি জেডিইউ সরকার গঠনের পর নীতিশের পরিবর্তে রাজ্যের বিজেপি নেতারা মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন। সে সময়ও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি রাজনৈতিকভাবে অসহায় নীতীশ কুমার।