এনভিটিভি ডেস্ক, জামিল হোসেন (আসাম): নতুন সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে মাফিয়ারা আহাদ এবং এক নাগা মহিলা ।বরাকে প্রতিনিয়ত চলছে কয়লার অবৈধ ব্যবসা। এতে একাংশ নেতাকর্মীরা জড়িত অবৈধ স্বৈরাচারী কারবারে ৷ প্রশাসন বার বার জোর গলায় দাবি করে আসছে, একটাও কয়লার গাড়ি ঢুকছে না বরাকে। কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় কয়লা বোঝাই লরি পাচার । মালিডহর থেকে ত্রিপুরা, মিজোরাম থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের একই অভিযোগ, মালিডহর থেকে বরাকে ৭/৮ দিন ধরে ৬০ থেকে ৮০ টি লরি বরাকে প্রতিদিন প্রবেশ করছে। রবিবার প্রবেশ করেছে ৫৪ টি কয়লার লরি। উল্লেখ্য, কাছাড়ের একজন নেতার সঙ্গে তার আরও তিন সঙ্গী। করিমগঞ্জের কয়লা মাফিয়ারা লাচিত বরা, বাবুল কুড়ি, বীরান দাস, বাপ্পান নাথ ও মেঘালয়ের এক নাগা মহিলা ছাড়া আরও দুই জনের নাম নতুন সিন্ডিকেটে এসেছে। অন্যদিকে, করিমগঞ্জ পুলিশ সুপারের কথা ভূল প্রমাণ করে রমরমিয়ে চলছে কয়লার চোরা কারবার এবং ন্যাশনাল হাইওয়ে ধরে চলছে কয়লা বোঝাই লরির মিছিল। জানা গেছে, দিনে ৬০-৭০ টি লরি কয়লা পাচার হচ্ছে। প্রতি ট্রাক থেকে ৮০-৯০ হাজার টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রশাসনের কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক সহ পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এতে জড়িত । যাদের দ্বারা এই সিন্ডিকেট চলছে। কংগ্রেস আমল থেকে এই সিন্ডিকেট চলে আসছে। তখন ৮-১০ হাজার টাকা আদায় করা হত, এখন সেটা দাড়িয়েছে ৮০-৯০ হাজার টাকায়। সরকারের এমনিতেই টাকার অভাব । করোনা কালে আর্থিক সংকটে ভুগছে রাজ্য সরকার। অথচ করোনা সিন্ডিকেটের নামে শাসক দলের নেতাদের পকেট ভারী হচ্ছে। আর সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এটা দুর্ভাগ্যের বিষয়।