চতুর্থ আরব দেশ হিসাবে আমেরিকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিল মরক্ক
সাইফুল্লা লস্কর : ইসরায়েলে নিজেদের রাজধানী জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করার জন্য সম্পাদিত “ডিল অফ দা সেঞ্চুরি” এর পর থেকে আমেরিকা ক্রমাগত মুসলিম দেশগুলোর ওপর ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য করার জন্য চাপ দিয়ে আসছে।তার ফলেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকার চাপের কাছে নতি স্বীকার করে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিচ্ছে একের পর এক আরব দেশ। প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাত তারপর বাহরাইন এবং সুদান। এবার পালা মরক্কোর।গত চার মাসে চতুর্থ আরব দেশ হিসাবে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে যাচ্ছে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মরক্কো। গতকাল ওয়াশিংটন থেকে টেলিফোনে রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মরক্কোর রাজা পঞ্চম মোহাম্মদের ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার চুক্তি সম্পন্ন হয়।
পশ্চিম সাহারার সমগ্র ভূখণ্ডের ওপর মরক্কোর অধিকারকে সমর্থন দেয়ার পরিবর্তে ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার তাগিদ দেয় আমেরিকা।এই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রথম পর্যায়ে মরক্কোর রাজধানী রাওয়াত এবং ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবে দুই দেশ পরস্পরের দূতাবাস চালু করার প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে।মরক্কো ইজরায়েলের জন্য নিজেদের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেবে এবং ইসরাইল থেকে এবং ইসরাইল পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে।
এই চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর দুবাইয়ের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহ ওয়ান টেলিফোনে মুহাম্মদকে শুভেচ্ছা জানান।উল্লেখ্য আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসরায়েলের সঙ্গে নিজেদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং বর্তমানে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিককালে সংযুক্ত আরব আমিরাত ১১ টি মুসলিম দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক মনে করছেন এই সমস্ত মুসলিম দেশগুলো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণেই তাদের বিরুদ্ধে ভিসা প্রতিবন্ধকতা লাগিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত।