নিউজ ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ারে বিমান হামলার পুরোদস্তুর দায় চাপানো হয় মুসলিমদের ওপর। ফলশ্রুতিতে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতি কিছুটা তিক্ততা তৈরি হয় অমুসলিমদের মনে। কিন্তু সে তিক্ততা মধুময় ভালোবাসায় পরিণত হতে সময় নেয়নি খুব বেশি। আর তার প্রমাণ মিলছে দিন দিন আমেরিকানদের মধ্যে ইসলাম প্রীতি বৃদ্ধির মাধ্যমে।
২০০১ সালে সেই হামলার পর প্রায় ২০ বছরে আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কিছু রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক পত্রিকা দ্য ইকোনোমিস্ট। ‘বিং ডেমোনাইজড হ্যাজ নট স্টপড আমেরিকান মুসলিমস ইমপ্রেসিভ রাইজ’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে দিনকে দিন যুক্তরাষ্ট্রে কিভাবে মুসলিমদের সংখ্যা বাড়ছে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ২০৫০ সালের মধ্যে আমেরিকায় মুসলিমরা হিন্দুদের দ্বিগুণ হবে এবং ইহুদিদের চেয়ে দেড়গুণ বেশি হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সংখ্যার বিচারে ইহুদিদের ছাপিয়ে যাবে মুসলিমরা। এরই পাশাপাশি মুসলিমদের আধিক্য দেখা দেবে বিভিন্ন রাজ্যে। যেমন টেক্সাস অঙ্গরাজ্য। রক্ষণশীল ও রিপাবলিকান টেক্সাসেও এখনই দেশটির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মুসলিমের বাস। অঙ্গরাজ্যটিতে রয়েছে বড় বড় মসজিদ ও ইসলামি প্রতিষ্ঠান।
২০০০ সালে আমেরিকায় মসজিদ ছিল প্রায় ১,৩০০টি। আর এখন অর্থাৎ ২০২০ সালে মসজিদের সংখ্যা ২,৮০০-এর কাছাকাছি। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ১৩০ শতাংশ।
সামাজিক দিক থেকে মুসলিমদের অগ্রগতির পর রাজনীতিতেও এখন মুসলিমদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয়। ২০০০ সালে আমেরিকায় কোনো মুসলিম কংগ্রেসম্যান বা কংগ্রেসওম্যান ছিলেন না। কিন্তু এখন ২ জন সক্রিয় কংগ্রেসওম্যান রয়েছেন।
২০২০ সালে মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা থেকে সৃষ্ট অপরাধ কমেছে ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ বলাই যায়– মার্কিনিদের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে মুসলিমদের। অনেক মার্কিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণও করছেন। আমেরিকায় হালাল খাদ্য শিল্প এখন দ্রæত হারে বেড়ে উঠছে। ২০১৬ সালে এর ব্যবসা ছিল ২ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। বর্তমানে তা আরো বেশি।