নিউজ ডেস্ক : শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের তদন্ত করতে পারে না পুলিশ।’ চন্দনার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের ওপর স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। ১৯ অগাস্ট তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয় গঙ্গাজলঘাটি থানায়।
শালতোড়ার বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায়। আগস্টের ১৯ তারিখ চন্দনা বাউড়ির বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু। অভিযোগ ছিল, তাঁর স্বামী অর্থাৎ কৃষ্ণ কুণ্ডু ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা সকলের অলক্ষ্যে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই দানা বাঁধে বিতর্ক। যদিও প্রথম থেকেই বিজেপির বিধায়ক চন্দনার দাবি ছিল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। লুকিয়ে বিয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন চন্দনা ও তাঁর স্বামী শ্রবণ। পাল্টা চন্দনাদেবী ফেসবুক লাইভ করে জানান, স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের কারণেই থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরকীয়ার অভিযোগ মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই মামলায় নিষ্কৃতি পেতে কলকাতা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি।
এই ঘটনার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। নিজের বিরুদ্ধে হওয়া এফআইআরের বিরোধিতায় কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন চন্দনা বাউড়ি। শুক্রবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ পদক্ষেপ করছে জেনেই বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এহেন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগের তদন্ত কীভাবে করছে পুলিশ। এরপরই গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় রুম্পা কুণ্ডুর করা এফআইআরের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। অর্থাৎ আপাতত ওই এফআইআরের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও রকম তদন্ত করতে পারবে না পুলিশ। হাই কোর্টের নির্দেশের পর রুম্পাদেবী বলেন, “আমি আইন ব্যবস্থার উপর ভরসা করি। তবে আমার সংসারে যে ধরনের অশান্তি তৈরি হয়েছে, সেটাও ভাবা উচিত ছিল”
এদিকে, ‘দ্বিতীয় বিয়ে’ নিয়ে জটিলতার মাঝে বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কৃষ্ণ কুণ্ডু। পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই কারণে পুলিশের তরফে বিজেপি কর্মী তথা চন্দনা বাউড়ির ‘দ্বিতীয় স্বামী’র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।