এনবিটিভি ডেস্ক, জামিল হোসেন (আসাম করিমগঞ্জ): এবার কয়লা কারবারি পুলিশের বড়র্কর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করিমগঞ্জের একাংশ কয়লা ব্যবসায়ীদের কথায় যখন তখনই তাদের আঙ্গুল হেলুনে বহু বড় বড় কাজ হাসিল হয়ে যায় বলে এমনি অভিযোগ উঠেছে। তবে সেই একই ফর্মুলায় গত তিন দিনের মধ্যে রাতে বরাকে ঢুকলো প্রায় ৬০টি কয়লা বােঝাই লরি। জানাগেছে, মালিডহর হয়ে কয়লা লরি আসা গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ ছিল। কারবারের লাগাম কার হাতে থাকবে, এ নিয়ে চলছে দড়ি টনাটানি। কিন্তু কিছুতেই কোনও সুরাহা হচ্ছিল না। এদিকে কয়লা সরবরাহ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছিল কিছু কারবারি। কিন্তু বে-আইনি ওই কারবার নিয়ে দিসপুর থেকে শিলচরে কোনও ম্যাসেজ আসছিল না। এমতাবস্থায় পুলিশের কাছে প্রস্তাব পাঠায় করিমগঞ্জের কুখ্যাত কয়লা মাফিয়া আহাদ। আহাদের ফর্মুলা মতে শুরু হয়ে যায় কারবার। একটি সূত্র জানায়, বড়কর্তার নির্দেশে রাতে এক বিশেষ পুলিশ দল এসেছিল মালিডহরে। তখনই শুরু হয় এ রাতের আমদানি। ঠিক আগের রাতের মতো লরিপ্রতি সত্তর হাজার টাকা করে এদিনও আদায় হয়। সূত্রমতে, এদিনও কয়েকটি কয়লার পারমিট নিয়ে এসেছিল। তবে পুলিশ ম্যানেজ থাকায় ১২ টনের জায়গায় লরিগুলি যথারীতি ৪০ টন পর্যন্ত কয়লা পাচার করতে পেরেছে। বাকী লরি কোনও নথি ছাড়াই ৪০ টন করে মাল নিয়ে বরাকে ঢুকেছে। এদিকে, পুলিশের এমন কাণ্ড দেখে সাধারণ মানুষ হতবাক। কারণ, পুলিশি পৃষ্ঠপােষকতায় চলতে থাকা এমন কয়লা কারবার চলছে জোর গতিতে। তাছাড়াও এদিনে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কৃষ্ণ বদরপুর নূতন থানার পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মুখামুখি হয়ে জানান, করিমগঞ্জ জেলায় একটিও অবৈধ কয়লা বােঝাই লরি প্রবেশ করে নি। তাই বদরপুর ঘাট এলাকায় অস্থায়ী পুলিশ চৌকি বসানো হয়েছে। এছাড়াও পাথারকান্দি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ও সাউথ রেঞ্জ ডিআইজির সঙ্গে রোদ্দধার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কি ব্যাপারে আলাপ আলোচনা হয়েছে তা জানায়নি।