এনবিটিভি ডেস্কঃ গঙ্গাসাগর মেলাকে কেন্দ্র করে লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়ে থাকে। চলতি বছর গঙ্গাসাগর মেলা হবে কি না তা নিয়ে রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের মধ্যে অনেক দড়ি টানাটানি হতে দেখা যায়। অবশেষে রাজ্যে সরকারের সম্মতি দেওয়ার পরই গঙ্গাসাগর মেলা হওয়ার সিদ্ধান্তে আসে কলকাতা হাইকোর্ট।
যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে করোনার নয়া রুপ ওমিক্রনের দাপটে যুবথুব জনজীবন। সেখানে রাজ্যে সরকারের লক্ষ মানুষের জমায়েতর এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে রাজ্যে বামফ্রন্ট নেতা সুজন চক্রবর্তী টুইট করে বলেন, ‘নোনা জলে করোনা হয় না’, হাইকোর্টে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্য সরকার। অতএব গঙ্গাসাগর মেলা হচ্ছে। মাননীয়ার প্রবল ইচ্ছা সেটাই। তাহলে পাশেই নোনা জলের বকখালি কিংবা পাখিরালা সহ সুন্দরবনের পর্যটন বন্ধ কেন? দীঘা’র অজস্র গরীব মানুষেরই বা দোষ কি? মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়া কোন সদুত্তর দেবেন কি?”
উল্লেখ্য, কলকাতার বাবুঘাট থেকেই মূলত গঙ্গাসাগরের পথে রওনা দেন দর্শনার্থীরা। বুধবার সেই ট্রানজিট ক্যাম্পে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত মেলাযাত্রীদের উদ্দেশ করে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক সচেতনতার বার্তা দেন। বলেন, ‘‘বিহার, উত্তরপ্রদেশ থেকে যারা আসছেন, তাদের স্বাগত। কিন্তু সবাই প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করুন। কারও কাশি হলেই পরীক্ষা করুন, কোর্টের নির্দেশ মেনে চলুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে পরিস্থিতি খারাপ হয়।’’
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী লক্ষাধিক অন্য রাজ্যে মেলাযাত্রীদের স্বাগত জানালেও করোনা মহামারী বৃদ্ধি না হয় সেই দিকে পরিষেবা না বলে উঠছে অভিযোগ। যদিও হাতে গনা কয়েকটি জরুরী বিভাগ ব্যবস্থা করলেও সেই গুলো আবার কাকদ্বীপের সংলগ্ন এলাকায়, যেটি মেলা থেকে অনেক দুরে। তাছাড়া হটাৎ যদি কেউ সিরিয়াস পরিস্থিতি হয় তাকে নিয়ে আসতে কলকাতায়। এই পরিস্থিতে তাদেরকে বাচানো কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, এদিকে রাজ্য করোনা আক্রান্তের গ্রাফ উচ্চ গতিতে বেড়েই চলেছে। কলকাতায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭,০৬০ জন, মৃত ৭ জনের। মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৫৬৫। অর্থাৎ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৫০০ বেড়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। একদিনে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে চার হাজারের বেশি। কলকাতার পাশাপাশি চলছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪,৩২৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৬১, হাওড়ায় আক্রান্ত ১,৩৬১, হুগলিতে ১১০৭, পশ্চিম বর্ধমানে ১০১০ জন।