
কাশ্মীর, যাকে অনেকেই পৃথিবীর স্বর্গ বলে থাকেন, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও শান্ত পরিবেশে প্রতিবছর বহু পর্যটক ভিড় করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীনগরের ডাল লেক ও আশপাশের এলাকায় পর্যটকদের প্রকাশ্যে মদ্যপান করার ঘটনায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এটি শুধু ধর্মীয় অনুভূতির অবমাননা নয়, বরং কাশ্মীরি সংস্কৃতিরও বিরোধী। কাশ্মীরের এক রাজনীতিক মুখপাত্র জিবরান দার বলেন, “প্রকাশ্যে মদ্যপান করা শুধু ধর্ম নয়, আমাদের সংস্কৃতি ও তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ রক্ষার প্রশ্ন।” তিনি গোটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মদ বিক্রি বন্ধের দাবি জানান। ২০২৩ সালে কাশ্মীরে ৩০৫টি মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল নতুন আবগারি নীতির অধীনে।

পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি নেতা ও বিধায়ক ওহিদ পারা বিধানসভায় সম্পূর্ণ মদ নিষিদ্ধ করার দাবিতে একটি বিল প্রবর্তন করেন।তিনি বলেন, “কাশ্মীরের পর্যটন আমাদের সংস্কৃতি ও প্রকৃতিকে তুলে ধরতে হবে, মদ্যপানকে নয়।”
শ্রীনগরের এক স্থানীয় বাসিন্দা আজহার এই বিষয়ে বলেন, “আমরা অতিথিদের আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। কিন্তু আধুনিকতা মানে সংস্কৃতি হারিয়ে ফেলা নয়।” অন্যদিকে পর্যটকরাও সংস্কৃতির পক্ষে কথা বলছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে কাশ্মীরের পর্যটন সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংস্কৃতি রক্ষা একসাথে সম্ভব। “কাশ্মীর শুধু পর্যটন স্থান নয়, এটা এক ঐতিহ্য,” বলেন প্রবীণ গাইড গুলজার আহমদ।