
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, এবার তিনি শান্তি এবং ঐক্যের প্রতীক হতে চান। নিজের মুখেই বলেছিলেন, “শান্তির দূত ও ঐক্যসাধনকারী হিসেবেই সবাই আমাকে মনে রাখবেন।”
প্রথম মেয়াদে অনেক বিতর্ক থাকলেও এবার তিনি ঝুঁকি না নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মন দিয়েছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে তাঁর উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হলেও ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে চাপে ফেলার জন্য কিছুটা সমালোচনাও হয়েছে। তবে এটাও ঠিক, নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া নিয়ে তাঁর আগ্রহ স্পষ্ট। এর আগে চারবার তাঁর নাম প্রস্তাবিত হয়েছিল।
ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়েও তিনি সরব। সৌদি আরব, কাতার, আমিরশাহির সঙ্গে বৈঠক করে তিনি শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছেন। সৌদি সফরের সময় তাঁকে উপহার হিসেবে একটি বিমানও দেওয়া হয়।
অন্যদিকে আরব দেশগুলোর সঙ্গে ইজরায়েলের সম্পর্ক মজবুত করতে ‘অ্যাব্রাহাম চুক্তি’ নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি ভারত-পাকিস্তান সংঘাত নিয়েও তিনি মধ্যস্থতার কথা বলছেন। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আগ্রহ দেখিয়েছেন। দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ না হওয়াকে নিজের সাফল্য হিসেবেই তুলে ধরছেন।

নিজে প্রকাশ্যে নোবেল পাওয়ার কথা না বললেও, ভেতরে ভেতরে তিনি কোনও চেষ্টার খামতি রাখছেন না। তার ঘনিষ্ঠ মন্ত্রীরা ইতিমধ্যেই তাকে পুরস্কার দেওয়ার দাবি তুলেছেন।
আমেরিকার ইতিহাসে চারজন প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই নোবেল পেয়েছেন— রুজভেল্ট, উইলসন, কার্টার ও ওবামা। এবার ট্রাম্প পারবেন কিনা, তা ভবিষ্যৎ বলবে। তবে কূটনৈতিক মহলের মতে, পরিস্থিতি বলছে— শান্তির লক্ষ্যে তার যাত্রা এড়িয়ে যাওয়া যায় না।