এটা আমার ভোট,কে প্রার্থী দেখবেন না : মমতা, আবার পরীক্ষিত পন্থা করলেন ব্যবহার

নিউজ ডেস্ক : “কে প্রার্থী দেখবেন না, এটা আমার ভোট,” এভাবেই আজ বুধবার মালদায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে আপামর বঙ্গবাসীর কাছে নিজের দলের হয়ে দায়িত্বশীল প্রার্থীপদ নিবেদন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আবার তৃণমূল কংগ্রেসের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ এর ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। রাজ্যে গত কয়েক মাসে অনেক সাংসদ বিধায়ক সহ তৃণমূল নেতা নেত্রীরা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এমতাবস্থায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি মানুষের মনে যে এক অনাস্থার সৃষ্টি হয়েছে তা বিবেচনা করেই মমতা আজ এই বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে একই রকম পন্থা ব্যবহার করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফল তখন হাতেনাতে পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্ব প্রেক্ষাপটে রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা এবং সারদা এবং নারদ এর দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। যার ফলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবির। তার ওপর সেই সময় জোট বেঁধেছিল বামদলগুলো এবং কংগ্রেস। তখন দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত নেতা-মন্ত্রীদের প্রতি মানুষের অনাস্থার কথা বিবেচনা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা আসনের সবকটিতেই আমি প্রার্থী। তার সেই মন্তব্যে রাজ্যের আপামর ভোটাররা দিশা খুঁজে পেয়েছিলেন এবং নির্বাচনের মোড় ঘোরাতে সাহায্য করেছিল বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাই এবারও সেই পরীক্ষিত পন্থাই ব্যবহার করলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আজ মালদায় তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় দারক ত্যাগী নেতা মন্ত্রীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, চোর-ডাকাতদের প্রকৃত চেহারা জানা থাকলে ওদের টিকিটি দিতাম না। রাজ্যে বারবার বিজেপির উচ্চস্তরের নেতাদের আগমন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা কেন বারবার বাংলায় আসছে! কারণ তারা জানে বাংলাকে শেষ করে দিলে, মমতাকে শেষ করে দিলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার মতো আর কোনো শক্ত কন্ঠ থাকবে না দেশে। রাজ্যে বর্তমানে শাসকদলের দুর্নীতির কথা প্রচার করে বাংলায় নিজেদের প্রথম বারের মতো সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি। আবার রাজ্যে অসংখ্য জনমুখি প্রকল্প চালু করার পর নির্বাচনের পূর্ব পেক্ষাপটে দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে রাজ্যের সমস্ত জনগণকে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পৌঁছে দিয়ে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কোন রাজনৈতিক দলের কৌশল তাদের শেষ হাসি হাসতে সাহায্য করবে তা জানার জন্য আমাদের এখন অপেক্ষা করতে হবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত

Latest articles

Related articles