নিউজ ডেস্ক : বিধানসভা নির্বাচনে বামদল গুলোর বিপর্যয়ের কারণ খুঁজতে আলিমুদ্দিনে আজ বৈঠকে বসেন বাম নেতারা। কিন্তু একে ওপরের ওপর তীব্র দোষারোপের পালা চলে বৈঠকে। জেলা নেতৃত্বের তরফ থেকে বলা হয়েছে জনমুখী এবং জনপ্রিয় সরকারি প্রকল্পগুলোর বিরোধিতা থেকে শুরু করে তীব্র তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধিতা ডুবিয়েছে দলকে। আবার তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা না করে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে জোট তৈরি ও অনেককে বাম বিরোধী করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে আব্বাস সিদ্দিকীর দলের সঙ্গে এখনই কোনো জোট ভাঙ্গার পরিকল্পনা নেই বলে জানানো হয়েছে উচ্চ পর্যায়ের বাম নেতাদের তরফ থেকে।
ভোটের পর প্রথম রাজ্য কমিটির সভা। বৈঠক যে উত্তাল হবে তা আগেই আঁচ করা গিয়েছিল। সভা ভারচুয়াল হলেও তা যে মাছের হাটে পরিণত হবে তা ভাবা যায়নি। শনিবার সিপিএম রাজ্য কমিটির সভা কার্যত মেছো হাটেই পরিণত হয়। শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগের তীর ছুটে আসতে থাকে। নিচুতলায় আলোচনা না করে কেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোটের সিদ্ধান্ত। জেলা নেতৃত্বের তোপের মুখে আলিমুদ্দিন। জোট গঠনের ক্ষেত্রে যে নেতৃত্ব একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাদেরকেই বিপর্যয়ের দায়ভার নিতে হবে বলে দাবি তুললেন সিপিএমের একাধিক জেলা নেতা। জেলা নেতৃত্বের আক্রমণের নিশানা বিমান বসু (Biman Bose), সূর্যকান্ত মিশ্র ও মহম্মদ সেলিমরা (MD Selim) ছিলেন বলে মনে করছে আলিমুদ্দিন। কিন্তু তোপের মুখে দাঁড়িয়েও মাথানত করতে নারাজ কমরেডকুলের নেতারা। তবে আগ বাড়িয়ে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) বা কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে আলিমুদ্দিন জোট ভাঙতে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
উল্লেখ্য বিধানসভা নির্বাচনে একটানা ৩৪ বছর রাজ্যের শাসক দল থাকার রেকর্ড গড়া বামফ্রন্ট, কংগ্রেস এবং আব্বাস সিদ্দিকীর নবগঠিত দলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করলেও একটি মাত্র আসন লাভ করেছে। ফলে তীব্র তৃণমূল বিরোধিতা থেকে আপাতত সরে আসতে হবে মত অনেকের। মানুষের মতামত বুঝে সব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।