
গাজা ভূখণ্ডে ইজরায়েলের লাগাতার বোমাবর্ষণে এলাকা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সেই সঙ্গে দেখা দিয়েছে মারাত্মক খাদ্য সংকট। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় দ্রুত ত্রাণ না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই প্রাণ হারাতে পারে অন্তত ১৪ হাজার শিশু।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার জানিয়েছেন, গাজায় এখন বিপুল পরিমাণ ত্রাণ প্রয়োজন। অন্যদিকে ইজরায়েল রবিবার জানায়, তারা সীমিত পরিমাণে ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেবে। সেই অনুযায়ী সোমবার গাজায় ঢোকে পাঁচটি ত্রাণবাহী ট্রাক। তবে টম ফ্লেচারের মতে, এই ত্রাণ দরকারের তুলনায় এক ফোঁটা জলের মতো। কারণ, সেখানে প্রায় ২১ লক্ষ মানুষ বাস করেন, যাদের অর্ধেকই শিশু।
তিনি আরও জানান, গাজার সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকগুলি এখনও মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে পারেনি। তাতে শিশুদের খাবার থাকলেও, তা না পৌঁছালে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জ আরও ১০০টি ট্রাক পাঠানোর চেষ্টা করছে, তবে বিভিন্ন স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহলেও ইজরায়েলের ওপর চাপ বেড়েছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডা কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবে ইজরায়েল এখনো হামাসের বিরুদ্ধে হামলা বন্ধ করেনি। জানা গিয়েছে সোমবার আধ ঘণ্টার মধ্যে নিহত হয় অন্তত ৩৮ জন ফিলিস্তিনি।