ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে বন্দী থাকা ইসরাইলি সৈন্যদের উদ্ধারে প্রতিজ্ঞা করেছে তেল আবিব। রবিবার হামাসের হাতে বন্দী এক সৈন্যের অডিও রেকর্ড প্রকাশের পর এই এমন মনোভাবের প্রকাশ করেছে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ।
ওই অডিওতে হিব্রুতে কোনো নাম-পরিচয় প্রকাশ না করে হিব্রুতে এক ইসরাইলি সৈন্য তাকে ও হামাসের হাতে বন্দী থাকা তার সতীর্থদের উদ্ধারের জন্য আহ্বান জানান।
এদিকে অডিও রেকর্ডের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে ইসরাইলের সরকারের বন্দী ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের সমন্বয়ক ইয়ারুন ব্লুম একে হামাসের ‘সস্তা কৌশল’ হিসেবে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ইসরাইল জানে তাদের দুই জন সৈন্য হাদার গোলদিন ও শাউল ওরন মারা গিয়েছেন।
হামাসের ভাষ্যমতে, চার ইসরাইলি সৈন্য বর্তমানে তাদের হাতে ব্ন্দী রয়েছে। এর মধ্যে দুই জনকে ২০১৪ সালে ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের সময় বন্দী করা হয়। বাকী দুই জন এর আগে গাজায় প্রবেশের পর হামাস যোদ্ধাদের হাতে আটক হন।
ইসরাইলি চ্যানেল টুয়েন্টিতে হামাসের প্রকাশিত এই অডিওকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ‘মনস্তাত্ত্বিক লড়াই’ বলে এক প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়।
রোববার কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার আরবি চ্যানেলে ২০১১ সালে হামাসের হাতে ওই সময় বন্দী থাকা ইসরাইলি সৈন্য গিলাদ শালিতকে নিয়ে এক প্রামান্যচিত্র প্রচারিত হয়। এই প্রামান্যচিত্রের সাথেই বর্তমানে বন্দী থাকা ইসরাইরি সৈন্যের সাহায্যের আবেদন জানানো অডিও রেকর্ড প্রকাশ করা হয়।
ওই প্রামান্যচিত্রে গিলাদ শালিতের বন্দী থাকাকালীন ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করা হয়। ভিডিও ফুটেজে ভিডিও ফুটেজে গিলাদ শালিতকে খেলতে, গান শুনতে, ব্যায়াম করতে ও নিজে নিজে রান্না করতে দেখা যায়।
২০০৬ সালে গাজা সীমান্তে এক অভিযানে গিয়ে হামাসের হাতে আটক হন শালিত। ২০১১ সালে হামাসের সাথে ইসরাইলের বন্দী বিনিময়ের চুক্তি অনুসারে এক হাজার ২৭ ফিলিস্তিনি বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে শালিতকে ইসরাইলে ফেরত পাঠানো হয়।
প্রামান্যচিত্রে হামাসের সশস্ত্র শাখা ইজ্জুদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের উপপ্রধান মারওয়ান ইসা প্রথমবারের মতো কোনো সংবাদমাধ্যমের কাছে সাক্ষাতকার দেন। এই সময় তিনি ইসরাইলের কারাগারে বন্দী থাকা সব ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্ত করার প্রতিজ্ঞা জানান।
বর্তমানে ইসরাইলি কারাগারে ৩৯ নারী ও ১৮০ শিশুসহ মোট ৪৬৫০ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন।
সূত্র : নয়া দিগন্ত