এনবিটিভি ডেস্ক,৩রা অক্টোবর,২০:
২৭ ঘন্টার অব্যাহত প্রচেষ্টার পরে, উত্তর প্রদেশের পুলিশ সাংবাদিকদের ব্যারিকেড তুলে প্রবেশ করতে এবং ১৯ বছর বয়সী দলিত ধর্ষণের শিকার শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের সাথে দেখা করার অনুমতি দেয়। সাংবাদিকরা পরিবারের সাথে কথা বলে। মনীষার ভাই সাংবাদিকদের জানান, তার ছোট্ট বোনকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল, তারা জানেও না উত্তর প্রদেশের পুলিশ কাদের মৃতদেহের শেষকৃত্য করেছিল। তারা বিশ্বাস করে না যে এটি তাদের মেয়ে ছিল। মনীষার পরিবার আরও বলেছেন, যে হাতরাসের ডিস্ট্রিক্ট মেজিস্ট্রেট তাদের হুমকি দিয়েছিলেন, “আপনার মেয়ে করোনভাইরাস দ্বারা মারা গেলে আপনি কোনও ক্ষতিপূরণ পেতেন না।”
মনীষার ভাই আরও বলেন যে তাদের ফোন নজরদারি চলছে এবং এসআইটি ( SIT ) তাদের কোনও পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেয়নি। তিনি বলেন, “পোস্টমর্টেম রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে আমাদের বলা হয়েছিল যে আপনি ইংরেজি বুঝতে পারবেন না।” তিনি আরও প্রকাশ করেছেন যে অ্যাম্বুলেন্সে মনীষাকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সময় তার পরিবারকে সঙ্গে নেওয়া হয়নি।
মনীষার ভাই বলেছিলেন যে তারা ২৫ লক্ষ ক্ষতিপূরণ বা কোনও সরকারী চাকরি চায় না, তারা কেবল চায় ‘তাদের মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার’। মনীষার বোন জানায়, গতকাল তাদের বাড়িতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তাদেরকে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। তিমি বলেন, “সবাই বাড়িতে এসেছিল কিন্তু কেউই তাদের মেয়ের প্রতি ন্যায়বিচার করেনি।” দু’জন মহিলা পুলিশ তাদের বাড়িতে এসে মা এবং অন্য পুলিশ সদস্যরা অসুস্থ বাবা সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের মারধর করেছিল। তাদের আত্মীয়স্বজনদের সাথেও তদন্তের নামে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে এসআইটি থাকার কারণ উল্লেখ করে এবিপি নিউজ দলকে রিপোর্ট করা বন্ধ করা হয়েছিল কিন্তু পরিবার বলেছে যে গতকাল কেউ পরিবার পরিদর্শন করেননি যা ইউপি পুলিশকে নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উত্থাপন করে।
উত্তর প্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব অবনীশ অবস্তি এবং ডিজি হিতেশ চন্দ্র অবস্তি হাতরা পৌঁছেছেন এবং প্রথমবারের জন্য মনীষার পরিবারের সাথে দেখা করবেন। এইখানেই শেষ নয় আবারও নতুন করে সাংবাদিকদের অভিযোগকারিদের বাড়ির বাইরে থাকতে নির্দেশ দিয়েছে উত্তর প্রদেশ পুলিশ যার কারণ স্বরূপ ‘তদন্তের সুবিধার্থে’ বলা হয়েছে।