
অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ নির্বাচনে রেকর্ড জয় পেয়ে ক্ষমতায় ফিরল লেবার পার্টি। টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন অ্যান্টনি আলবানিস। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে, লেবার পার্টি এ পর্যন্ত ৭০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে, পিটার ডাটনের নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট পেয়েছে মাত্র ৪৪টি আসন। ফলাফল প্রকাশের পর পরাজয় স্বীকার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ডাটন। তিনি বলেন, “এই পরাজয়ের দায়ভার আমি একা বহন করব। ভোটাররা আমাদের প্রতি আস্থা রাখেননি।”
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক নীতিই ছিল এবারের নির্বাচনের মূল ইস্যু। বিরোধী জোট অভিযোগ তুলেছিল যে লেবার সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। পাল্টা লেবার পার্টি ডাটনের পারমাণবিক শক্তি সম্প্রসারণের পরিকল্পনাকে “অবাস্তব” ও “সমাজে বিভেদ সৃষ্টিকারী” বলে আখ্যায়িত করে।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটেও এই নির্বাচন ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের মধ্যকার বাণিজ্য উত্তেজনা অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। আলবানিস সরকার চিনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি পশ্চিমা মিত্রদের সাথেও সৌহার্দ্য বজায় রাখার নীতি অব্যাহত রেখেছে। এই কৌশল ভোটারদের সমর্থন পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজয়ী আলবানিসকে টুইটার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর হবে—এ বিশ্বাস আমার আছে।”

গণতান্ত্রিক এই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন রেকর্ড সংখ্যক ভোটার। ২২ এপ্রিল প্রায় ৮০ লাখ মানুষ প্রাক-নির্বাচনী ভোট দিলেও মূল ভোটগ্রহণ হয় ৩ মে। ভোটারদের ব্যালটেই স্পষ্ট হয়েছিল—অস্ট্রেলিয়ার জনগণ পরিবর্তনের বদলে স্থিতিশীলতাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।