নিউজ ডেস্ক : “গুজরাটের কসাই মোদীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দিলে বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত লাশের সারি পড়বে।” এমনই ভাষায় হাসিনা সরকারকে হুশিয়ারি দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রবল জনপ্রিয় ইসলামী সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা মমিনুল হক।
গুজরাট রাজ্যে মুসলিম নিধনে মোদির ভূমিকা ভারতের সিবিআই এবং সুপ্রিম কোর্ট এর দ্বারা ক্লিন চিট পাওয়ার জন্য এবং পরবর্তীতে দেশে শাসন ক্ষমতা লাভ করে মিডিয়ার দালালি ক্রয়ের কারণে ভারতের প্রায় সবাই ভুলে গেলেও তা অক্ষরে অক্ষরে মনে রেখেছে ইসলাম প্রধান দেশ বাংলাদেশের মুসলমানরা। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেও যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন মোদি দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে তাও মনে আছে তাদের। কাশ্মীরে তার মানবতা বিরোধী অবস্থানও তারা স্মরণে রেখেছেন বলে জানাচ্ছেন সেদেশের আলেমরা। তারাই মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে তীব্র হুশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে শুরু থেকে।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, হাজারো মুসলমানের রক্তে তার(নরেন্দ্র মোদী) হাত রঞ্জিত করার পর শাহজালালের এই পবিত্র মাটিতে নরেন্দ্র মোদি যদি আসার দুঃসাহস দেখায় স্পষ্ট ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশে কেয়ামত কায়েম হবে। সরকারকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শত বার্ষিকী পালন করছেন, আপনার সারা বিশ্ব থেকে মানবতাবাদী বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে আনুন। নয়তো গোটা বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট থেকে বঙ্গভবন পর্যন্ত লাশের সারি পড়বে।
মামুনুল হক মামুন বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে আসতে দেওয়া হবে না। আগামী দিনের সংগ্রাম এবং কর্মসূচি নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করবে। জীবন দিয়ে হলেও সেই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে আজ ঢাকায় মোদি বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর সহ অনেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোদি বিরোধী আন্দোলন আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় খণ্ড যুদ্ধ শুরু হয়েছে ছাত্র সমাজের বহু বিক্ষোভকারীদের। এখনও ইসলাম পন্থী নেতারা ময়দানে নামেননি সেই অর্থে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে তারাও প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে যার ফলে পরিস্থিতি আরো প্রতিকূল হয়ে উঠতে পারে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।
উল্লেখ্য আগামী ২৭ শে মার্চ তারিখে মোদির বাংলাদেশ সফর শুরু হওয়ার কথা। তবে এই প্রবল বিক্ষোভের মাঝে সফর ঘিরে একটা সংশয় তৈরি হয়েছে যদিও হাসিনা সরকার বিষয়টিকে গুরত্ব দিতে নারাজ তবে মোদি পূর্বের মতো নিজের সফর বাতিল করেন কিনা সেটাই এখন দেখার। গত বছরে বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও মুসলিমদের বিক্ষোভের ফলে মোদি সেই সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছিলেন।