আর গণতন্ত্র নয় ভারত! বিজেপির জন্যই ভারত এখন এক নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র, বলছে আন্তর্জাতিক রিপোর্ট

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

IMG_20210311_171149

নিউজ ডেস্ক : ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক একের পর এক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে মোদি সরকার। তার ফলেই বিঘ্নিত হয়েছে দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ। উসকে দেয়া হয়েছে উগ্র হিন্দুত্ববাদি জাতীয়তাবাদ। দমন করা হয়েছে মুক্ত কন্ঠের আওয়াজ। নির্বাচন কমিশনের মতো বিভিন্ন কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থা গুলি থেকে মেডিয়া সবখানেই মোদি সরকার একচ্ছত্রভাবে নিজের নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে। তার পরিণতিতে আজ ভারত বর্ষ গণতন্ত্র হিসাবে নিজের স্থান খুইয়ে বসল সারাবিশ্বে। বিজেপির কল্যাণেই আজ ভারত বর্ষ গণতন্ত্রের পরিবর্তে বিশ্বে পরিচিত হচ্ছে এক নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র হিসেবে। বলছে সুইডেনের স্বনামধন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান V-Dem। এটি সুইডেনের গোথেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

তারা সারাবিশ্বের ১৮০ টি দেশের মধ্যে থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ব্যাপক বিশ্লেষণের পর গণতান্ত্রিক সূচক প্রকাশ করেন প্রতিবছর। মুক্ত গণতন্ত্র হিসেবে ভারত বর্ষ এবারে তাদের বিশ্লেষণে ১ এর মধ্যে পেয়েছে মাত্র ০.৩৪। যেখানে ২০১৩ সালে তা ছিল ০.৫৭। প্রতিষ্ঠানটির তরফ থেকে সরাসরি ভারতকে একটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র রূপে আখ্যায়িত করার বেশ কিছু কারণ তুলে ধরা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে ভারতে মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক পরিবেশ চরমভাবে বিঘ্নিত হতে শুরু করেছে। ভারতের উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদ উসকে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় স্বশাসিত সংস্থাগুলিকে কেন্দ্র সরকার নিজের নিয়ন্ত্রণে ইচ্ছামত ব্যবহার করছে রাজনৈতিক স্বার্থে। গণমাধ্যম এখন সম্পূর্ণরূপে সরকারের ইচ্ছাধীন অবস্থায় কাজ করছে। সাংবাদিকদের ওপর সরকারিভাবে অত্যাচার চালানো হচ্ছে। মুক্তকণ্ঠ প্রায় অবরুদ্ধ। মোদি সরকারের সমালোচনাকারী যে কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন গণতান্ত্রিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সরকার বিভিন্নভাবে অভিসন্ধি মূলক অবস্থান গ্রহণ করছে।

দ্য রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান এর প্রকাশিত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূচকের ভারতবর্ষের যে ব্যাপক অবনমন গত ছয় বছরে লক্ষ্য করা গেছে সেটিও উল্লেখ করা হয়েছে। যেভাবে বিভিন্ন সমাজকর্মী এবং বুদ্ধিজীবীদেরকে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে জেলে রাখছে মোদি সরকার সেটিও বলা হয়েছে। উল্লেখ্য বেশ কিছুদিন আগে ভারতবর্ষকে মুক্ত গণতন্ত্র না বলে আংশিক মুক্ত গণতন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছিল ব্রিটেনের একটি প্রতিষ্ঠান। তবে মোদি সরকার বারবার নিজের ব্যর্থতা এবং এ দেশে গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবেশ যে বিঘ্নিত হচ্ছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চোখে লুকিয়ে রাখার অপচেষ্টা করলেও তা ক্রমেই প্রকাশ্য হয়ে যাচ্ছে যা ভারতের সার্বিক ভাবমূর্তির জন্য এক বিশাল হুমকি।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর