এলাহাবাদ হাইকোর্ট জানিয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতিতে গরুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে। ভারতবর্ষে গরু মা হিসাবে পরিচিত এবং দেবতাদের মতো পূজিত হয়। তাই গরুকে জাতীয় পশুর মর্যাদা দিতে হবে। আদালত বলেছে, হিন্দুদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে গরুর সুরক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ, পুরাণ এবং শাস্ত্রে গরুর গুরুত্ব সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিয়ে আদালত বলেন, ভারতে বিভিন্ন ধর্মের নেতা ও শাসকরা সবসময় গরু রক্ষার কথা বলেছেন। ভারতের সংবিধানের ৪৮ অনুচ্ছেদে আরও বলা হয়েছে যে গরু শাবক রক্ষা করবে এবং দুগ্ধ এবং ক্ষুধার্ত পশু সহ গরু জবাই নিষিদ্ধ করবে। ভারতের ২৯ টি রাজ্যের মধ্যে ২৪ টিতে গরু জবাই নিষিদ্ধ।গরু জবাইয়ের অভিযুক্ত এক ব্যক্তির জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বিচারপতি শেখর কুমার যাদব বলেন, সরকারকে গরুকে মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করতে এবং যারা গরু হত্যা করে তাদের ক্ষতি করার জন্য কঠোর আইন করতে সংসদে একটি বিল আনতে হবে। আদালত বলেছে, গরুর কল্যাণ হলেই এ দেশের কল্যাণ হবে।
এর আগে ২০১৭ সালে গরু নিয়ে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাজস্থান হাই কোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা। এক মামলার রায়ে তিনি গরুকে ‘মাতা’ হিসাবে সম্বোধন করেন। এবং দাবি করেন, সংবিধানের ৪৮ ও ৫১এ(জি) ধারা অনুযায়ী গরুকে জাতীয় পশুর আইনি মর্যাদা দেওয়া যেতেই পারে।কেন্দ্রে তথাকথিত ‘হিন্দুত্ববাদী’ শক্তি বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে নতুন মাত্রা পেয়েছে ‘গো রাজনীতি’। গো রক্ষার নামে গণপিটুনি, হানাহানি এমনকী বহু মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। এরপর এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই রায় কার্যকর হলে, পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।