মুসলিম বিদ্বেষ এখন অতি মহামারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, উদ্বেগ রাষ্ট্রসঙ্ঘের

NBTV ONLINE DESK

NBTV ONLINE DESK

image300x180cropped

নিউজ ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী মুসলিম বিদ্বেষ এখন অতি মারীর পর্যায়ে পৌঁছে গেছে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ধর্ম বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ শাহিদ জেনিভায় রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের এক সভায় বক্তৃতাকালে এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এর কারণে বেশ কিছু ব্যাক্তি সংগঠন দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা মূলত দায়ী।

সাম্প্রতিক সময়ে মিশরের কায়রোতে স্বনামধন্য ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আল আজহার বিশ্ব বিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সম্পাদক অ্যান্টোনিও গুতেরেস ইসলাম বিদ্বেষের ব্যাপারে একই রকম উদ্বেগ প্রকাশ করে এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন। কয়েক বছর আগে করা এক জরিপে দেখা যায় আমেরিকাতে প্রতি ১০ জন মানুষের তিনজন মুসলিমদের সঙ্গে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না এবং তাদের ব্যাপারে নেতিবাচক ধারণা রাখেন। অধিকাংশ ইউরোপীয় দেশের অবস্থাও প্রায় একই রকম আরো খারাপ।

৯/১১ এর সন্ত্রাসবাদী হামলার পরবর্তী প্রেক্ষাপটে মুসলিমদের খুব সহজ করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা দেশ এবং মিডিয়া। যার কারণেই ইসলামবিদ্বেষ বাড়তে শুরু করে বিশ্বব্যাপী আজ যা অতি মহামারীর পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক দেশে আজ নিত্যদিন শোনা যায় কোন না কোন মুসলিম হিন্দুত্ববাদী জনতার হাতে বিনা কারনে শুধুমাত্র তাদের মুসলিম পরিচয়ের জন্য প্রাণ হারাচ্ছে। মুসলিম বিদ্বেষের অবস্থা মায়ানমার থেকে চীন নেদারল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া কোথাও কারো অজানা নয়। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মুসলিমদেরকে সন্দেহ করা বা মুসলিমদের প্রতি ভয় পোষণ করা মুসলিম বিদ্বেষের এক অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আহমেদ শহীদ। মুসলিম বিদ্বেষের কারণে কোন দেশ সেদেশের মুসলিমদের জন্য মসজিদ তৈরি করতে বাধা দেয় আবার কখনো হিজাব পরাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। কখনো কেউ অভিবাসন নীতিতে মুসলিমদেরকে বাদ দিতে চায় আবার কখনো ভারতের মতো বৈচিত্র্যময় দেশের কট্টর মুসলিম বিদ্বেষী শক্তি দেশের কোটি কোটি মুসলিম অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি করার চক্রান্ত করে।

ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতে আজ জয় শ্রীরাম প্রায় রাষ্ট্র ধ্বনির পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এমনকি সুপ্রিম কোর্ট ও এই বিশুদ্ধ কট্টর হিন্দুত্ববাদী স্লোগান নির্বাচনী প্রচারাভিযানে ব্যবহার করাতে কোনো ভুল কিছু দেখতে পায় না। আশ্চর্যজনক ভাবে এই সুপ্রিম কোর্ট কয়েক বছর আগে এক রায়ে বলেছিল ধর্মের নামে ভোট চাওয়া যাবে না। আজ ধর্ম নিরপেক্ষ ভারতের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান স্বীকৃত ধর্মনিরপেক্ষতা কে দেশের জন্য প্রধান বিপদ এবং হুমকি বলে আখ্যায়িত করার দুঃসাহস দেখাতে পারে।

Facebook Comments Box

সম্পর্কিত পঠিত খবর

সর্বশেষ খবর