বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রাত্য বসুর অভিযোগ যেখানে রাজ্যপাল জাগদিপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পক্রিয়াল যোগদান করেন, সেখানে আমন্ত্রনই পাননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এদিকে বিশ্বভারতীর প্যাডে লেখা ৪ ঠা ডিসেম্বরের একটি চিঠিতে প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে লেখা এই চিঠি বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্রাত্য বসু জবাবে পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন , “চিঠিটির প্রাপ্তিস্বীকার হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে কোন নথি আছে কি? নাকি উপাচার্য নিজেই সই করে চিঠি নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন?” । অনুষ্ঠানের আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রকে আলাদাভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে কিছু সাংবাদিক দাবি করলে ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী,এটাকি তাকে আমন্ত্রণ এর কোন নিয়ম? এইভাবে কাউকে আমন্ত্রণ করা হয়?”।
সব মিলিয়ে বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো কে ঘিরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় বিস্তর জলঘোলা । যেখানে রাজনীতিও নিজের অস্তিত্ব সহ বর্তমান।
তবে তার আগে মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উপলক্ষে আলাদাভাবে নিজে টুইট করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গান উদ্ধৃত করে লিখেছেন, “বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সাথে আমারও ।”
কবিগুরুর ১৯১০ সালে লেখা পূজা পর্যায়ের এই গানটির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো লিখেছিলেন,’১০০ বছর হল বিশ্বভারতীর। আদর্শ মানুষ তৈরীর পথে রবীন্দ্রনাথের গবেষণার সবচেয়ে বড় ফসল হলো এই শিক্ষা মন্দির। আমাদের উচিত এই মহান দার্শনিক এর চিন্তা ও দর্শন কে সংরক্ষণ করা।’