
কাশ্মীরের একটি প্রাচীন শিল্পের ধারক ও বাহক ছিলেন আলী মুহাম্মদ। পেপার মাশে কারুশিল্পের মত ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে বহন করে নিয়ে যেতেন আলি মহঃ জু, তবে শিল্পী আলি মহঃ জুর শেষটা হলো বড় নির্মন, বড্ড বেদনা দায়ক।
পরিবার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শিল্পীর জীবনধারণটা ছিল অত্যন্ত সংগ্রামময়। জীবনটা শিল্পী আলি মহঃ জুর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠেছিল। শিল্পের যোগ্য মূল্য বহুদিন ধরে আসছিল না, আলি মহঃ জুর। চরম অর্থাভাবে দিন কাটাচ্ছিলেন শিল্পী আলি মহঃ জু। অর্থ উপার্জনের নিরিখে তিনি ছিলেন সংসারের একমাত্র ভরসা।
গত ৩০ মে, শশুরবাড়ি থেকে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ফেরার পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় পুলিশের গাড়িটি পেছন থেকে তাদের ধাক্কা দেয়। মেয়ের চোখের সামনেই গাড়িটি মুহাম্মদের বুকের উপর দিয়ে চলে যায়, যার ফলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বিক্ষোভকারীদের শান্ত করার চেষ্টা করছে এবং ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিচ্ছে ,তবে একই সময়ে, পুলিশ স্থানীয় গণমাধ্যমকে ঘটনাটি কভার করতে বাধা দেয় এবং সাংবাদিকদের হাসপাতালে প্রবেশ করতে দেয়নি, যা আরও ক্ষোভের জন্ম দেয়।